বাল্কহেডের ধাক্কায় চার ঘণ্টা ডুবচরে আটকা ফেরি
মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরা সাত্তার মাদবর-মঙ্গলমাঝির ঘাট নৌপথে বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ফেরির সামনের একটি র্যাম্প ভেঙে গেছে।
রোববার (০১ মে) দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে ঝড়ের কবলে পড়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে কেউ হতাহত হননি। তবে চার ঘণ্টা ফেরিটি পদ্মা নদীতে আটকে ছিল। সোমবার (০২ মে) ফেরিটি জাজিরার সাত্তার মাদবর-মঙ্গল মাঝির ঘাটে পৌঁছায়।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, শিমুলিয়া-সাত্তার মাদবর, মঙ্গলমাঝির ঘাট নৌপথে ফেরি চলাচল করছে। রোববার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে ১৫টি যানবাহন ও ২৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে ফেরিটি শিমুলিয়া ঘাট থেকে জাজিরার সাত্তার মাদবর-মঙ্গলমাঝির ঘাটের দিকে রওনা হয়। রাত সোয়া ৩টার দিকে পদ্মা নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে ফেরিটি। তখন বালুবোঝাই একটি বাল্কহেড ফেরিটিকে ধাক্কা দেয়।
তখন ফেরিটি নদীতে নির্মাণাধীন বিদ্যুতের পুলের (খুঁটি) সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এরপর ফেরিটি ডুবচরে আটকা পড়ে। তখন ফেরির সামনের দিকে থাকা একটি র্যাম্প ভেঙে যায়। র্যাম্পের নিচে একটি অ্যাম্বুলেন্স আটকা পড়ে। চার ঘণ্টার চেষ্টায় ডুবোচর থেকে ফেরিটি নামিয়ে আনেন চালক। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সাত্তার মাদবর-মঙ্গলমাঝির ঘাটে ফেরিটি ভেড়ে। ফেরির অন্য র্যাম্প দিয়ে যানবাহন নামানো হয়।
ফেরি চালক শৈশব দে বলেন, প্রচণ্ড ঝোড়ো বাতাস আর বৃষ্টিতে ফেরি চালাতে সমস্যা হচ্ছিল। পদ্মা নদী পার হওয়ার সময় হঠাৎ একটি বাল্কহেড ফেরির সামনের অংশে ধাক্কা দেয়। তখন ফেরিটি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ফেরি রক্ষা করার জন্য ডুবোচরে তুলে দিই। পরে নদীতে জোয়ার এলে ডুবচর থেকে ফেরি নামিয়ে আনা হয়। যানবাহন ও যাত্রীদের কোনো অসুবিধা হয়নি।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ঝড়ের কবলে পড়ে ফেরিটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডুবোচরে আটকে যায় ফেরিটি। পরে ডুবোচর থেকে ফেরি নামিয়ে আনেন চালক।
ছগির হোসেন/এফএ/জেআইএম