চৌকিদারের বাসায় মিললো ভিজিএফের ৯ বস্তা চাল
ঝালকাঠির নলছিটিতে চৌকিদার ও ব্যবসায়ীর বসতঘর থেকে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দের ভিজিএফের ১৪ বস্তা (৫০ কেজির ওজনের) চাল উদ্ধার করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার আয়নাল হকের বসতঘর থেকে ৯ বস্তা ও ইউসুফ খান নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বসতঘর থেকে আরও পাঁচ বস্তা চাল উদ্ধার করে পুলিশ।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন প্রতাপ গ্রাম থেকে এসব চাল উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভৈরবপাশা ইউনিয়নে ২ হাজার ৩৬৬ জন দুস্থ ও অসহায় ব্যক্তির জন্য ১০ কেজি করে ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় প্রত্যেককে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও প্রত্যেককে এক থেকে দেড় কেজি করে চাল কম দেওয়া হয়। ওই চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম, ওজনে কারচুপি, ভুয়া নাম দেখিয়ে চাল উত্তোলন ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটে। এমনকী চাল বিতরণের সময় সরকারি তদারকি কোনো কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি।
শনিবার সকালে প্রায় ১ মেট্রিক টন ভিজিএফের চাল স্থানীয় তিনজন ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন চেয়ারম্যান ও সচিব। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। রাতে ওই চাল পাচারের সময় স্থানীয় জনতা তা আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
এ বিষয়ে ভৈরবপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হক বলেন, ‘চালের বস্তাগুলো ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতীয় গোডাউনের রাখা হয়েছিল। সচিবের কাছে গোডাউনের চাবি ছিল। কীভাবে চাল পরিষদের বাইরে গেলো সে ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।’
তবে ভিজিএফের চাল বিক্রি ও গোডাউনের চাবি কাছে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করেন ইউপি সচিব মিঠুন সিকদার।
নলছিটি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রি জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আতিকুর রহমান/এসআর/জেআইএম