এবার ঈদে নতুন পোশাক পরবে চান মিয়ার মেয়েরা
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার বাসিন্দা চান মিয়ার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। পাশাপাশি মেয়েদের জন্য ঈদের পোশাক কিনতে নগদ পাঁচ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয় চান মিয়ার হাতে।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাহারকান্দি গ্রামে চান মিয়ার বাড়িতে গিয়ে এসব বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মরিয়ম বেগম।
সংসারে অসচ্ছলতার কারণে পড়াশোনা করতে পারেননি চান মিয়া। ছোটকাল থেকেই রিকশা চালাতে শুরু করেন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত রিকশা চালাচ্ছেন তিনি। সবার ভাগ্য পরিবর্তন হলেও এখনো মানবেতর জীবনযাপন করছে চান মিয়ার পরিবার।
চান মিয়ার নিজের কোনো জমি কিংবা ঘর নেই। ভাইদের জমিতে কোনো রকম ঘর তুলে বাস করেন। সেই ঘরেরও জরাজীর্ণ অবস্থা। বর্ষাকালে চাল দিয়ে পানি পড়ে। এ অবস্থায় বুধবার (২৭ এপ্রিল) ‘প্রায় দিনই ক্ষুধায় কাঁদতে কাঁদতে ঘুমায় চান মিয়ার মেয়েরা’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাগোনিউজ২৪.কম।
তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মরিয়ম বেগম জাগো নিউজকে বলেন, ‘চান মিয়ার কষ্টের কাহিনী জাগো নিউজের মাধ্যমে জানতে পারি। পরে উপজেলা প্রশাসন থেকে তাকে খাদ্যসামগ্রী ও ঈদ উপলক্ষে মেয়েদের জন্য পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এক ব্যক্তি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে চান মিয়ার পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছেন।’
ইউএনও আরও বলেন, ‘চান মিয়ার যাতে কারো সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করতে না হয় সেজন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে তাকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া চেষ্টা করা হবে।’
খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ পেয়ে খুশি চান মিয়া ও তার স্ত্রী ইয়ানুর বেগম। তারা বলেন, ‘জাগো নিউজে সংবাদ প্রচারের পর ইউএনও ম্যাডাম আমাদের বাড়ি এসে খাদ্য ও ঈদে বাচ্চাদের জন্য নতুন পোশাক কেনার জন্য টাকা দিয়েছেন। চট্টগ্রামের এক ব্যক্তিও পাঁচ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন। এতে আমরা অনেক খুশি। আল্লাহর কাছে সবার জন্য দোয়া করি।’
জুয়েল সাহা বিকাশ/এসআর/এমএস