রিলিফের ৪০ বস্তা চাল উধাও: সেই পাহারাদার কারাগারে
নোয়াখালীর কবিরহাটের বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয় থেকে রিলিফের (ভিজিএফ) ৪০ বস্তা চাল উধাও হওয়ার ঘটনায় সেই পাহারাদার গ্রাম পুলিশ মো. হারুনুর রশিদকে (৩১) গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে ইউপি সচিব আবদুল কাইয়ুমের দায়ের করা মামলায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়। পরে বিচারক হারুনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভিজিএফের ৪০ বস্তা সরকারি চাল আত্মসাতের ঘটনায় থানায় চৌকিদার হারুনসহ অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা (নম্বর-১০) দায়ের হয়েছে। তাকে ওই মামলায় গ্রেফতার করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল মামুন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে বাটইয়া ইউপি কার্যালয় থেকে চাল উধাও হওয়ার ঘটনায় গ্রাম পুলিশ হারুন জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এছাড়া যাদের জড়িত থাকার কথা শোনা যাচ্ছে, সেটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ভোরে ৭নং বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বরাদ্দকৃত রিলিফের (ভিজিএফ) ৪০ বস্তা চাল উধাও হওয়ার অভিযোগ ওঠে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদে রিলিফের ৪২০ বস্তার মধ্যে বিতরণের পর ২৮০ বস্তা চাল থাকার কথা থাকলেও রয়েছে ২৪০ বস্তা। সকালে এ ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের পাহারাদার গ্রাম পুলিশ মো. হারুনকে আটক করেন পরিষদের জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় জনতা।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন শাহীনের যোগসাজশে তার লোকজন পাহারাদারকে দিয়ে দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দের চাল আত্মসাতের উদ্দেশ্যে সরিয়ে নিয়েছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে পাহারাদারের ওপর দোষ চাপিয়ে তারা বাঁচতে চাচ্ছেন বলেও দাবি তাদের।
৭নং বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন শাহীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেও তার সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) নোয়াখালীতে ইউপি কার্যালয় থেকে রিলিফের ৪০ বস্তা চাল উধাও! শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
ইকবাল হোসেন মজনু/এফএ/এএসএম