বাসি খাবার খেয়ে ২০ মাদরাসাছাত্র অসুস্থ
শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে বাসি খাবার খেয়ে ২০ মাদরাসাছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের বড়কালীনগর বড়কাঁচনা এলাকার আনন্দ বাজার ইসলামিয়া কওমি মাদরাসা ও এতিমখানায় এ ঘটনা ঘটে। ছাত্ররা হেফজ ও নূরানী বিভাগে পড়ে।
মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও অসুস্থ ছাত্ররা জানায়, মাদরাসা ও এতিমখানায় ১৭০জন শিক্ষার্থী। রোববার রাতে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্য মুরগির মাংস ও ডাল রান্না করা হয়। সোমবার সকালে ২০ ছাত্র গতকালের ওই রান্না করা খাবার খেলে এক ঘণ্টা পর একে একে সবার বমি ও তীব্র পেটব্যথা শুরু হয়। পরে তাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর মো. ইব্রাহিম (৮), মো. আব্দুর রহমান (১১), আবু বক্কর (১০), সিয়াম (৭), মাহফুজ (১০) চিকিৎসাধীন।
গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হাফিজুর রহমান বলেন, গরমে বাসি ও পচা খাবার খাওয়ার ফলে ছাত্ররা অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তারা এখন বিপদমুক্ত।
ওই মাদরাসার ছাত্র মো. মাহাদী ইসলাম জানায়, সকালের খাবার খেয়ে আমরা পরীক্ষা দেই। পরে বমি ও তীব্র পেটব্যথা শুরু হয়। অভিভাবক ও শিক্ষকরা আমাদের হাসপাতাল নিয়ে আসে।
অবিভাবক হানিফ চৌকিদার বলেন, ‘মাদরাসায় আমার ছেলে পড়ে। আমার ধারণা বাসি ও পচা খাবার খাওয়ায় আমার ছেলে অসুস্থ হয়েছে।’
মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতী সিরাজুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ছাত্ররা পরীক্ষা দিচ্ছিল, হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নিয়ে যাই। এখন সবাই সুস্থ আছে। কী কারণে অসুস্থ হলো বলতে পারি না।
গোসাইরহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুবকর জাগো নিউজকে বলেন, হাসপাতালে ছাত্রদের খোঁজ নিয়েছি। এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মো. ছগির হোসেন/এসজে/এএসএম