নারায়ণগঞ্জ থেকে লঞ্চ চালু করায় আনন্দ মিছিল
অডিও শুনুন
নারায়ণগঞ্জ থেকে লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় লঞ্চ টার্মিনাল ঘাট এলাকায় আনন্দ মিছিল করেছেন শ্রমিক কর্মচারীরা। রোববার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল ঘাট থেকে লঞ্চ চালুর সময় বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের ব্যানারে তারা এই আনন্দ মিছিল করেন।
এ সময় বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি মো. মঈন মাহামুদ বলেন, দীর্ঘদিন পর নারায়ণগঞ্জ থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই, তিনি আমাদের কথা শুনেছেন। সেইসঙ্গে বিআইডব্লিউটিএকে ধন্যবাদ জানাই তারা আমাদের বিষয়টি বিবেচনায় এনেছেন।
আক্তার হোসেন নামে এক শ্রমিক নেতা বলেন, আজ থেকে ১৮টি ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। সরকার ও বিআইডব্লিউটিএর কাছে অনুরোধ করবো তারা বাকি লঞ্চগুলোও যেন চালু করে দেন। কারণ এসব লঞ্চের কারণে অনেক শ্রমিকের কর্মসংস্থান বন্ধ রয়েছে। তারা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
লঞ্চ চালক হারুণ বলেন, অনেকদিন ধরে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় আমাদের কষ্টে দিন যাচ্ছিল। এখন খুলে দেওয়া হয়েছে। ঈদের আগে খুলে দেওয়ায় আমাদের জন্য অনেক উপকার হয়েছে। এখন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কোনোরকম ঈদ করতে পারবো।
এসকে বাবু নামে এক যাত্রী বলেন, লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় যাতায়াতে বেশ সমস্যা হচ্ছিল। ব্যবসায়িক কাজে প্রায় সময়ই আমাকে নারায়ণগঞ্জে আসতে হয়। লঞ্চে গেলে সময় কম লাগে টাকাও কম লাগে।
গত ২০ মার্চ নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর চর সৈয়দপুর আল আমিন নগর এলাকায় রূপসী-৯ নামে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় এম এল আশরাফ উদ্দিন নামে একটি লঞ্চ ডুবে যায়। এই ঘটনায় ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকেই নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল ঘাট থেকে সকল লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তবে এই লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক ও কর্মচারী মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন। যার কারণে শ্রমিক কর্মচারীরা বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের ব্যানারে আন্দোলনে করে আসছিলেন।
১৩ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করে লঞ্চ চালুর দাবি জানান তারা। সবশেষ ১৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালে গণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
মোবাশ্বির শ্রাবণ/এফএ/এমএস