বিদ্যালয় কক্ষে পোশাক কারখানা!

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৪:০৮ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০২২
বিদ্যালয়ের কক্ষ ভাড়া নিয়ে চলছে পোশাক তৈরির কাজ

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার নান্দিনা মধু উচ্চ বিদ্যালয়ের সরকারি ঘর ভাড়া নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে পোশাক কারখানা। মাসিক তিন হাজার টাকা চুক্তিতে বিদ্যালয়ের তিনটি কক্ষ ভাড়া দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয় কক্ষ পোশাক কারখানা হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে নান্দিনা মধু উচ্চ বিদ্যালয়ে নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ করে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। এ কারণে আগে ব্যবহৃত আধাপাকা ঘরগুলোর তিনটি কক্ষ স্থানীয় আব্দুর রহমান বাবলুকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তিনি কক্ষ তিনটিতে সুইং মেশিন স্থাপন করে কিছু জনবল নিয়োগ দিয় বিভিন্ন ধরনের পোশাক তৈরি করছেন।

jagonews24

বিদ্যালয়ের কক্ষ ভাড়া দেওয়ার বিষয়ে দুই পক্ষ একটি চুক্তিও করেছে। চুক্তিনামা সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক প্রত্যেক মাসে তিন হাজার টাকা ভাড়ার বিনিময়ে টেইলার্স বসানোর জন্য তিনটি কক্ষ ভাড়া দেন। সেই সঙ্গে ছয় হাজার টাকা জামানত হিসেবে নেওয়া হয়। তবে কী কারণে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কক্ষ তিনটি ভাড়া দিয়েছে চুক্তিনামায় তা উল্লেখ নেই।

এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি কামরুল হাসান লাভলু জাগো নিউজকে বলেন, ‘সরকারি নীতিমালা অনুসরণ করেই পরিত্যক্ত কক্ষগুলো ভাড়া দেওয়া হয়েছে। কমিটির সব সদস্যের অনুমতি নিয়েই কাজগুলো করা হয়েছে। এতে যদি কারো সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে তারা যেন আমাকে অথবা কমিটিকে জানায়।’

jagonews24

বিদ্যালয়ের কক্ষ ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে আব্দুল রহমান বাবলু জাগো নিউজকে বলেন, ‘ডিসেম্বরের দিকে আমি রুমগুলো ভাড়া নিয়েছি। কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে অভিযোগ দিচ্ছে। তবে এরই মধ্যে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাকে নোটিশ দিয়েছেন। দুই মাসের মধ্যে আমার জিনিসপত্র এখান থেকে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।’

স্থানীয় আব্দুর রশিদ অভিযোগ করে বলেন, এই বিদ্যালযয়ে আমার পরিবারের ছয়জন ছেলেমেয়ে লেখাপড়া করে। কারখানাটিতে সব সময় লোক সমাগম থাকে। এতে ছেলেমেয়েদের সমস্যা হয়। অনেক সময় ছেলেমেয়েরা কারখানার সামনে দিয়ে গেলে অনেক কটূক্তি শুনতে হয়। তিনি বলেন, কারখানাটি স্কুল এরিয়ার বাইরে হলে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না।

jagonews24

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, পোশাক কারখানাটি সরিয়ে নিতে মৌখিক ও লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাকমান আলী বলেন, বিষয়টি শুনেছি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন ম্যানেজিং কমিটি পরিত্যক্ত রুমগুলো ভাড়া দিয়েছে। তবে এ কারণে যদি শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয় এবং অভিযোগ পাই তাহলে ব্যবস্থা নেবো।

এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।