জেলা পরিষদের সাবেক সদস্যের বাড়ি থেকে ১৯৪ বস্তা ত্রাণ উদ্ধার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ
প্রকাশিত: ০৯:৫৭ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০২২

নওগাঁর পত্নীতলায় সদ্যবিলুপ্ত জেলা পরিষদের সদস্য ফাতেমা জিন্না ঝর্ণার বাড়ি থেকে দুস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য বরাদ্দ ১৯৪ বস্তা ত্রাণসামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা সদরের নজিপুর উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন তার বাড়ি থেকে এসব উদ্ধার করে উপজেলা প্রশাসন।

রোববার (১৭ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের জেলা পরিষদ আইন-২০০০ এর ধারা ৫ অনুযায়ী (সংশোধনী আইন ২০২২) দেশের ৬১টি জেলা পরিষদের মেয়াদ প্রথম সভার তারিখ থেকে পাঁচ বছর উত্তীর্ণ হওয়ায় পরিষদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা পরিচালনার জন্য প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

সূত্র জানায়, হঠাৎ করে জেলা পরিষদ বিলুপ্তি ঘোষণা করায় তড়িঘড়ি করে সোমবার (১৮ এপ্রিল) দুস্থদের জন্য বরাদ্দের ১৯৪ বস্তা ত্রাণসামগ্রী উত্তোলন করেন বিলুপ্ত জেলা পরিষদের দুই সদস্য ফাতেমা জিন্না ঝর্ণা ও শাহীন চৌধুরী। পরে সেগুলো ফাতেমা জিন্না ঝর্ণা তার বাড়িতে মজুত করেন। মজুতের বিষয়টি জানার পর রাতে ঝর্ণার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন পত্নীতলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদুল ইসলাম। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে ত্রাণগুলো জিম্মায় নিয়ে পত্নীতলা ডাকবাংলোয় রাখা হয়।

এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ফাতেমা জিন্না ঝর্ণা বলেন, ‘সোমবার জেলা পরিষদ থেকে ত্রাণগুলো পত্নীতলায় নিয়ে আসতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। আমার বরাদ্দ ছিল ১০০ প্যাকেট (বস্তা)। প্রতি বস্তায় ছিল চাল, ছোলা, মশুর ডাল, সয়াবিন, সাবান ও চিনি। যেহেতু এলাকায় আসতে সন্ধ্যা হয়ে যায় সেজন্য আমার এবং আরেক সদস্য শাহীন চৌধুরীর বরাদ্দও আমার বাড়িতে রাখা হয়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়। কিন্তু রাতেই গোয়েন্দা সংস্থা মালগুলো উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে রাত হওয়ার কারণে সরকারি গুদামে না রেখে বাড়িতে ত্রাণের মালগুলো রেখেছিলাম। এখানে অসৎ কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।’

পত্নীতলা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গাফ্ফার বলেন, ‘জেলা পরিষদ থেকে সব সদস্যকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি (বাড়িতে রাখা) আমাদের জানানো হয়েছে। ত্রাণগুলো তালিকা করে মাস্টার রোলের মাধ্যমে বিতরণ করার কথা ছিল।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন সরকার বলেন, অভিযানের সময় আমাকে জানানো হয় যে রমজান মাসে ত্রাণগুলো বিতরণ করা হবে। বিষয়টি নিয়ে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। ত্রাণগুলো উদ্ধার করে ডাক বাংলোতে রাখা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তালিকা করে এগুলো বিতরণ করা হবে।

আব্বাস আলী/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।