কলমাকান্দায় ছড়িয়ে পড়ছে জলবসন্ত : শিক্ষার্থী শূন্য স্কুল
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় চিকেন পক্স বা জলবসন্ত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ১৭ জন থেকে এখন দাঁড়িয়েছে ৪০ জনে। ইতোমধ্যে রোগটি ছড়িয়ে পড়ছে পাশে আরো চারটি গ্রামে। আর এ কারণে এসব গ্রামের স্কুলগুলো শিক্ষার্থী শূন্য হয়ে পড়েছে।
এদিকে, ইতোমধ্যে রোগ নির্ণয়ে ঢাকা থেকে একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল এসেছে। তারা জলবসন্ত সংক্রমিত এলাকায় কাজ শুরু করেছে।টিমের মধ্যে রয়েছেন রোগ তথ্য, রোগ নির্ণয় ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের ডা. রায়হান শরীফ, এফইটিবি ডা. মো. ফেরদৌস রহমান সরকার, (ফেলো আইসিডির), আইসিডিডিআরবির ডা. মো. হাসনাতুজ্জামান রনি, (রিচার্স অ্যাসিস্টেন্ট), মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (থাইরোনোলজি) মো. আব্দুল মালেক ও সহকারী আব্দুল কুদ্দুছ।
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার জামশেন গ্রামে জলবসন্ত (ধারণা করা হচ্ছে) রোগে আক্রান্ত হয়ে গেলো এক মাসে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে । শনিবার পর্যন্ত চিহ্নিত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৭ জনে।
রোববার স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্যমতে, আক্রান্ত হয়েছে আশপাশের আরো চারটি গ্রামের মোট চল্লিশ জন। আর এ আতঙ্কে এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বলে জাগো নিউজকে জানান জামশেন প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ।
রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত এলাকাবাসীর অভিযোগের তীর স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মীদের বিরুদ্ধে। গ্রামবাসীর অভিযোগ জলবসন্ত কবলিত এলাকায় খাওয়ানো হয়নি সরকারি টিকা।
নেত্রকোনা সিভিল সার্জনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কলমাকান্দার অজ্ঞাত রোগ নির্ণয়ে পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষ মেডিকেল টিম ঢাকা থেকে আক্রান্ত রোগীদের পরিদর্শনে আসেন।
বিশেষ মেডিকেল টিমকে তিন দিনের মধ্যে আইসিডিআরবি এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালককে রোগের সঠিক তথ্য দেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন অফিসের একটি বিশেষ সূত্র।
এদিকে ঢাকা থেকে আসা চিকিৎসক দলের সদস্যরা রোগটির ব্যাপারে গণমাধ্যমকে কোনোকিছু জানাতে রাজি হননি। তবে তারা সোমবার এ ব্যাপারে জানাবেন বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন টিমের প্রধান রোগ তথ্য, রোগ নির্ণয় ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের ডা. রায়হান শরীফ।
এমএএস/পিআর