ধলেশ্বরী নদীর পানি বেড়ে তলিয়ে যাচ্ছে হাওরের ধান

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি হবিগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৩:৫৪ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০২২
পানি বেড়ে যাওয়ায় আধাপাকা ধান কেটে নিচ্ছেন কৃষকরা

হবিগঞ্জের লাখাইয়ে ধলেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে তীর উপচে তলিয়ে যাচ্ছে হাওরের ফসলি জমি। উপজেলার তিনটি হাওরের ৬৫ হেক্টর জমির ধান পুরোপুরি তলিয়ে গেছে। পানি বাড়তে থাকলে কয়েক হাজার হেক্টর বোরো জমি তলিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে ৭০-৮০ শতাংশ ধান পাকলেই তা কেটে নেওয়ার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছে জেলা কৃষি বিভাগ। কয়েকদিন ধরেই তারা বিভিন্ন স্থানে মাইকিংও করছে। অনেক স্থানে কৃষকরা আধাপাকা ধান কাটা শুরু করেছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, লাখাইয়ে এ বছর বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ১১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে শুধু লাখাই ইউনিয়নে হয়েছে তিন হাজার ৪০০ হেক্টর জমি আবাদ হয়। ব্রি-২৮ জাতের ধান কিছু কিছু জমিতে প্রায় ৬০ শতাংশ পেকেছে। তবে বেশিরভাগ জমির ধান অর্ধেকও পাকেনি। এ অবস্থায় ভারতের আসাম, চেরাপুঞ্জি ও মেঘালয়ে বৃষ্টিপাত হওয়ায় উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ধলেশ্বরী নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ পানি নদী থেকে হাওরের খালগুলোতে প্রবেশ করে। অপরদিকে নদীতে বাঁধ না থাকায় সরাসরি হাওরেও পানি প্রবেশ করতে থাকে। গত দুদিন ধরে নদীর পানি হাওরে প্রবেশ করছে। এতে লাখাই সদর ইউনিয়নের শিবপুর, সুজনপুর ও বারচর হাওরের অন্তত একশ’ হেক্টর জমির আধাপাকা ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

Habigonj

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. আশেক পারভেজ জানান, প্রাথমিকভাবে ৬৫ হেক্টর বোরো জমি পুরোপুরি তলিয়ে গেছে। চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করতে আরও ২/৩ দিন সময় লাগবে।

তিনি বলেন, ভারতের আসাম, ধলেশ্বরী নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার বুল্লাই ব্লক দিয়ে হাওরে ঢুকে ফসলি জমি তলিয়ে যাচ্ছে। আমরা সার্বক্ষণিক বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি।

মো. আশেক পারভেজ জানান, হাওরের সঙ্গে নদী সরাসরি যুক্ত হওয়ায় পানি বেশি ঢুকছে। তাই আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি তারা যেন ৭০-৮০ শতাংশ পাকলেই ধান কেটে নেন। বিভিন্ন স্থানে আমরা মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচারণাও করছি।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/আরএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।