ঠাকুরগাঁওয়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে বাঁশের হাট

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও
প্রকাশিত: ০৭:০০ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০২২
রানীশংকৈল উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে বসে বাঁশের হাট

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামটি বাঁশের হাটের জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছে। প্রতি বুধবার হাট বসলেও বাঁশের উচ্ছিষ্টের কারণে সারা সপ্তাহজুড়েই ভোগান্তি পোহাতে হয় স্টেডিয়ামে আসা খেলোয়ারদের।

পৌরসভা থেকে হাট ইজারা দেওয়া হয়েছে বলে পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টিতে নীরব ভূমিকায় রয়েছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়সহ খেলোয়ারদের। তাদের দাবি, স্টেডিয়াম থেকে অবিলম্বে হাটটি অপসারণ করা হোক।

শনিবার (১৬ এপ্রিল) স্থানীয় খেলোয়াড়রা বলেন, পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের হেলিপ্যাড সংলগ্ন স্টেডিয়ামে বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা নামার আগ পর্যন্ত বাঁশ কেনাবেচা চলে। সপ্তাহে একদিন হাট বসলেও বাঁশের উচ্ছিষ্টের কারণে গোটা সপ্তাহ খেলাধুলা বন্ধ থাকে।

স্থানীয় ক্রিকেটার রবিন উদ্দীন বলেন, মেয়র কীভাবে একটি স্টেডিয়াম হওয়ার পর সেটিকে বাঁশের হাট হিসেবে ইজারা দেন সেটি আমার বোধগম্য নয়। একজন মেয়র কীভাবে ক্রীড়াঙ্গনকে এভাবে পিছিয়ে রাখেন?

আরেক খেলোয়াড় নুহাস ইকরাম বলেন, আমাদের খেলার জন্য একমাত্র মাঠ শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম। কিন্তু মাঠটি এখন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। অনেকেই খেলতে নেমে বাঁশের টুকরায় রক্তাক্ত হয়েছি।

হাট বসার আগে মাঠে রোজ ফুটবল অনুশীলন করতেন মিনার রহমান। তিনি বলেন, আগে অনেকেই অনুশীলনে আসতাম। এখন আসা হয় না। এভাবে বাঁশের হাট বসিয়ে খেলাধুলাকে বাধাগ্রস্ত করে আর্থিক হিসাব করা অযৌক্তিক। পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে সমস্যাটি নিয়ে ভাবার আহ্বান রাখলাম।

রাঙ্গাটুঙ্গি ইউনাইটেড প্রমিলা নারী ফুটবল দলের পরিচালক তাজুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, খেলোয়ারদের প্রতিভা বিকাশের জন্য সরকার প্রত্যেক উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম করে দিয়েছেন। কিন্তু সরকারের এ উদ্যোগকে ব্যাহত করা হচ্ছে। হাটটি অপসারণ জরুরি।

ঠাকুরগাঁওয়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে বাঁশের হাট

রাণীশংকৈল পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান হাট বসার বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে জাগো নিউজকে বলেন, স্টেডিয়াম হওয়ার আগে থেকে এখানে বাঁশের হাট ছিল। স্টেডিয়াম হওয়ার পরে বাঁশের হাট হিসেবে পৌরসভা কেন ইজারা দিলো, এমন প্রশ্ন করা হলে এড়িয়ে যান তিনি। এছাড়া স্টেডিয়ামে পড়ে থাকা বাঁশের টুকরার কারণে খেলাধুলায় অসুবিধা হয়, মেয়র হিসেবে এর কী ব্যবস্থা নেবেন জানতে চাইলে বিষয়টি নিয়ে পরে মন্তব্য করবেন বলে জানান তিনি।

পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এক বছরের চুক্তিতে হাটটি ইজারা নিয়েছেন স্থানীয় শামিম ইসলাম। খেলোয়াড়দের অসুবিধার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আমি এক বছরের চুক্তিতে হাট ইজারা নিয়েছি। পৌরসভা আমাকে ইজারা দিয়েছে। খেলা চললো না বন্ধ থাকলো আমার দেখার দরকার নেই। সপ্তাহে বুধবার হাট লাগে সেদিন খেলা ব্যাহত হবে স্বাভাবিক।

রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির বলেন, হাটের বিষয়ে আমি ইজারাদারদের সঙ্গে কথা বলে সেটিকে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করবো।

তানভীর হাসান তানু/এমআরআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।