খাগড়াছড়িতে বৈসু উৎসবে মেতেছে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী
করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর নিরানন্দে কাটলেও পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় এ বছর পাহাড়ে পাহাড়ে বৈসাবি উৎসবে রঙ লেগেছে। উৎসবের রঙে রঙিন হয়ে উঠেছেন পাহাড়ে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন।
বর্ণিল এ উৎসবের ধারাবাহিকতায় খাগড়াছড়িতে বৈসু উৎসবে মেতেছে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী। ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসু। করোনার থাবা কাটিয়ে বৈসু উৎসবে মেতে উঠেছে তারা।
রোববার (১০ এপ্রিল) সকালে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণিল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রীর পদ-মর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের আয়োজনে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা নিজস্ব পোশাক পরে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের টাউন হল প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। এতে ত্রিপুরাদের ঐতিহ্যবাহী গড়িয়া নৃত্য ছাড়াও নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আব্দুল আজিজ, পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য আশুতোষ চাকমা, সদস্য শতরূপা চাকমা, সদস্য শাহীনা আক্তার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, আমরা এ উৎসব সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে আনন্দে মেতে উঠতে চাই। সবার অংশগ্রহণে মুখরিত হবে পাহাড়ি জনপদ। সবার অংশগ্রহণে সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হবে বৈসু।
ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী চৈত্র সংক্রান্তি থেকে তিনদিন বৈসু উৎসব উদযাপন করে থাকে। পুরোনো বছরের শেষ দুই দিন ও নতুন বছরের প্রথম দিন উদযাপন করেন তারা। হারি বৈসু, বৈসুমা ও বছর কাতাল নামে সাধারণত চৈত্রের ৩০, ৩১ ও ১ বৈশাখ এই তিনদিন বৈসু উৎসব উদযাপিত হয়ে থাকে।
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/কেএসআর