পাকা ঘরে ঠাঁই পেয়ে খুশির অন্ত নেই সোনাই বিবির

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর
প্রকাশিত: ০৯:১৩ এএম, ১১ এপ্রিল ২০২২
পুলিশের দেওয়া ঘরে সোনাই বিবি

বিধবা সোনাই বিবি (৬০) ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চরহরিরামপুর ইউনিয়নের ইন্তাজ মোল্যার ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা। থাকতেন জরাজীর্ণ কুড়েঘরে। ইট-বালুর পাকা ঘরে থাকতে পারবেন, তা তিনি স্বপ্নেও ভাবেননি। কিন্তু এখন এটাই বাস্তব। শুধু ঘরই নয়, ঘরে আছে বৈদ্যুতিক বাতি, ফ্যান, রান্নাঘর ও বাথরুম। পানির জন্য রয়েছে নিজস্ব নলকূপ।

রোববার (১০ এপ্রিল) সারাদেশে একযোগে ‘মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, একজন মানুষও আর গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর ভার্চ্যুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিনে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন থানা প্রাঙ্গণে সোনাই বিবির হাতে এ ঘরের চাবি হস্তান্তর করে থানা পুলিশ।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, বিধবা ও নিঃসন্তান সোনাই বিবি মানুষের কাছে কোনোরকম চেয়ে চিন্তে জীবনধারণ করতেন। অসহায় এ নারীর পাশে দাঁড়ায় বাংলাদেশ পুলিশ। কুড়ে ঘর ছেড়ে উঠেছেন পাকা রঙিন ঘরে। এখন থেকে সেখানেই থাকবেন বিধবা সোনাই বিবি।

farid3

ফরিদপুর জেলা পুলিশের মাধ্যমে নতুন ঘর পেয়ে খুশির যেন শেষ নেই সোনাই বিবির। আবেগ আপ্লূত হয়ে বিধবা সোনাই বিবি জাগো নিউজকে বলেন, স্বামী মারা গেছেন বেশ কয়েক বছর আগে। তার মৃত্যুর পর থেকে আমার সব শেষ হয়ে যায়। শুরু হয় দুঃখ-কষ্ট। খুব কষ্ট করে নদীর পাড়ে একটা জরাজীর্ণ ভাঙাচোরা ঘরে রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কোনোমতে থাকতাম। পুলিশ আমার সব দুঃখ-কষ্ট দূর করে দিয়েছে। আমি তাদের কাছে চির ঋণী হয়ে গেলাম। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পুলিশদের জন্য মন থেকে দোয়া করি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরিদপুরের ৯ থানায় ৯ জন গরিব-অসহায়, দুস্থ মানুষ মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছেন। তারা হলেন- কোতয়ালী থানার তাম্বুলখানা গ্রামের শাফিয়া বেগম (৫৫), মধুখালী থানার মোবারকদিয়া গ্রামের রোকন মোল্যা (৪৫), বোয়ালমারী থানার লোকনাথ গ্রামের জামিরন বেগম (৪৫), আলফাডাঙ্গা থানার কুসুমদি গ্রামের জরিনা বেগম (৬৯), চরভদ্রাসন থানার ইন্তাজ মোল্যার ডাঙ্গী গ্রামের সোনাই বিবি (৬০), সদরপুর থানার মধু মন্ডলের ডাঙ্গী গ্রামের প্রিয় বালা সরকার, ভাঙ্গা থানার পাঁচকুল গ্রামের নাজমা বেগম (৪৮), নগরকান্দা থানার কোদালিয়া গ্রামের ঝর্না বেগম (৪০) ও সালথা থানার ভাওয়াল গ্রামের মোসা. আছমা বেগম (৪০) এর হাতে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়। উপকারভোগীরা পুলিশ ও সকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

farid3

চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা বেগম, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম, মুক্তিযোদ্ধা ফখরুদ্দিন, চরভদ্রাসন সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. বিলাল হোসেন, প্রফেসর মো. মিজানুর রহমান, শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান, ইউপি চেয়ারম্যান, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন মিডিয়ার স্থানীয় সাংবাদিকরা।

এছাড়াও বিভিন্ন থানায় ঘর ও ঘরের চাবি হস্তান্তরের সময় স্থানীয় থানার ওসির সভাপতিত্বে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এন কে বি নয়ন/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।