পুলিশের নির্যাতনে এবার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হাসপাতালে


প্রকাশিত: ১১:৩৬ এএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৬

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা গোলাম রাব্বি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্মকর্তা বিকাশ রায়কে নির্যাতনের পর এবার বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের ওসির বিরুদ্ধে।

গুরুতর আহত আসাদুজ্জামান বাদলকে গৌরনদীর আশোকাঠি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তার স্বজনরা।

তিনি উপজেলার গৈলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসবক লীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সেরাল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি।

বাদলের চাচাতো ভাই মো. লাবু অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের নির্যাতনের কারণে তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। এক চোখের অবস্থা আরো খারাপ। পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলেও জানান তিনি।

মো. লাবু জাগো নিউজকে জানান, উপজেলার পতিহার এলাকায় তার বাড়ির পাশে একটি দোকানে বসা ছিলেন আসাদুজ্জামান বাদল। এসময় পিকআপে করে রাস্তা দিয়ে ফোর্স নিয়ে যাচ্ছিলেন থানা পুলিশের ওসি মনিরুল ইসলাম। কয়েকটি গাছ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে পিকআপ থামিয়ে তার কাছে বিষয়টি জানতে চান ওসি।

এসময় আসাদুজ্জামান বাদল এগিয়ে এসে তার কাটা গাছ বলে উত্তর দেন। এ কথা বলার পরপরই মারধর শুরু করেন ওসি ও পিকআপের চালক কনস্টেবল মোকলেস। এসময় বাদল বলেন, তিনি সেরাল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। রাস্তা ঘাটে অপমান না করতে ওসিকে অনুরোধ করেন। এতে আরো উল্টো কাজ হয়। পেটানোর মাত্রা আরো বেড়ে যায়। স্থানীয়রা ঘটনাটি দেখে এগিয়ে এলে বাদলকে শাসিয়ে চলে যান ওসি।

আহত বাদল স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাতকে বিষয়টি জানাতে তার বাসায় যান। বাসায় ঢুকার আগেই সেখানে অবস্থান করা ওসির সঙ্গে দেখা হয়ে যায় বাদলের। ওসি তার বিরুদ্ধে নালিশের বিষয়টি বুঝতে পেরে আবারো মারধর শুরু করেন বাদলকে। পেটানোর কারণে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান বাদল। পুলিশ চলে গেলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্বজনদের খবর দেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে গৌরনদীর আশোকাঠি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অভিযোগের প্রসঙ্গে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, পতিহার এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় কাটা গাছ রাখায় চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। আমাদের পিকআপটি দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায়। এ নিয়ে পিকআপের চালক মোকলেস ও গাছের মালিক বাদলের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে এমপির বাড়িতে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার আক্তারুজ্জামান জানান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বা কোনো বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে পুলিশ মারধর করেছেন তা তার জানা নেই। কাটা গাছ রাস্তায় রাখা নিয়ে পুলিশের পিকআপের চালকের সঙ্গে এক লোকের বাকবিতণ্ডা হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন।

সাইফ আমীন/এআরএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।