খতম তারাবির ইমাম ১৩ বছরের আরিফ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: ০৯:০১ এএম, ০৭ এপ্রিল ২০২২
হাফেজ এসএম আরিফ মাহমুদ

বাবার স্বপ্ন পূরণে তিন বছরে হাফেজ হয়েছেন স্কুলছাত্র এসএম আরিফ মাহমুদ। ১৩ বছর বয়সী আরিফ তারাবির নামাজের ইমামতি করছেন সাহসিকতার সঙ্গে। তারাবির নামাজ পড়াতে গিয়ে রমজান শুরু হওয়ার মাত্র কয়েকদিনে মুসল্লিদের নজর কেড়েছেন আরিফ।

বাবার স্বপ্ন ছিল আরিফ একদিন কোরআনে হাফেজ হবেন। মাত্র তিন বছরেই বাবার সেই স্বপ্ন পূরণ হলো। ২০২১ সালে পঞ্চম শ্রেণি পাস করার সঙ্গে সঙ্গে পবিত্র কোরআন মুখস্থ শেষ হয় তার। তৃতীয় শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় হাফেজি পড়া শুরু করেন আরিফ।

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার খারপাড়া গ্রামের স্কুলশিক্ষক মাওলানা মো. আব্দুস শহীদ ও শিক্ষিকা মোছাম্মাৎ জাহানারা বেগমের ছেলে এসএম আরিফ মাহমুদ।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আরিফ ২০১৮ সালে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াকালীন মৌলভীবাজারের তাহফিজুল মডেল মাদরাসায় কোরআন মুখস্থ শুরু করেন। ২০২১ সালে তিনি কোরআনে হাফেজ হয়ে যান। চলতি রমজানেই রাজনগর উপজেলার কর্ণিগ্রাম জামে মসজিদে তিনি খতম তারাবির নামাজ পড়াতে শুরু করেন। দক্ষতার সঙ্গে তার নির্ভুল তেলাওয়াতে মা বাবাসহ পরিবারের সবাই আনন্দিত।

বুধবার (৬ এপ্রিল) রাতে ওই মসজিদে গেলে কথা হয় মুসল্লি তছকির খানের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, এই ছোট শিশুর সাহসিকতার সঙ্গে নির্ভুল কোরআন তেলাওয়াত আমাদের মুগ্ধ করেছে।

এলাকার মুসল্লি আব্দুল হান্নান জাগো নিউজকে বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম এত ছোট ছেলে কিভাবে খতম তারাবি পড়াবে। হয়তো ভুল করতে পারে। তার কোরআন তেলাওয়াত আমাদের ভালো লাগছে।

এলাকার আকলুমিয়া চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের মসজিদে খতম তারাবি পড়াতে আরিফের সঙ্গে হাফেজ নাজিম উদ্দিন (৩৫) আছেন। আরিফ সকলের নজর কেড়েছেন।

মসজিদের ইমাম সাদিকুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, কোরআন মুখস্থ করা সাধনার ব্যাপার। আরিফ আসলেই আমাদের অবাক করেছে।

আরিফের বাবা মাওলানা মো. আব্দুস শহিদ জাগো নিউজকে বলেন, আমার দুই ছেলে আসিফ ও আরিফ। আমি স্বপ্ন দেখতাম আরিফ হাফেজ হবে। আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমি সবার কাছে দোয়া চাই আমার ছেলে যেন কোরআন মুখস্থ রাখতে পারে।

আব্দুল আজিজ/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।