ভাসমান সেতু পেয়ে উচ্ছ্বসিত আশাশুনির বিচ্ছিন্ন দুই গ্রামবাসী
ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ও ইয়াসের প্রভাবে নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে লন্ডভন্ড হয়ে যায় সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়ন। টানা দুই বছর ধরে চলা জোয়ার-ভাটায় ভিটেমাটি হারিয়েছে বহু মানুষ।
ফসলি জমি ও চলাচলের রাস্তা পরিণত হয়েছে বিশাল খালে। ভেঙে পড়ে পুরো এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। প্রতাপনগর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে হাওলাদার বাড়ি ও দরগাহতলার আইট গ্রাম দুটি। স্থানীয়রা পড়েন চরম দুর্ভোগে।
উপকূলের বাসিন্দাদের সীমাহীন এ দুর্ভোগ লাঘবে এগিয়ে আসে চিকিৎসকদের দ্বারা পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ডু সামথিং ফাউন্ডেশন’। সংগঠনটি দুর্গম প্রতাপনগরের হাজারো মানুষের যাতায়াতের কষ্ট লাঘবে তৈরি করেছে একটি ভাসমান সেতু।
৫৬টি ড্রাম দিয়ে তৈরি ৩৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের ভাসমান সেতুটির নির্মাণকাজ শেষে গত ২৮ মার্চ সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এখন দৃষ্টিনন্দন এ ভাসমান সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে পেরে উচ্ছ্বাসিত স্থানীয়রা।
স্বেচ্ছাসেবক মাসুম বিল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, ‘যে স্থানে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে, সেখান ছিল ৪০টি পরিবারের বসতভিটা, মসজিদ ও কবরস্থান। সবকিছু নদীতে বিলীন হয়ে তৈরি হয়েছে খাল। যাতায়াতের পথ ছিল না। সেতুটি তৈরি হওয়ায় মানুষের খুব উপকার হচ্ছে।’
ডু সামথিং ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. নাজমুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘মানুষের কষ্ট লাঘবে এই সেতুটি তৈরি করা হয়েছে। ভাসমান সেতুটি বিছিন্ন দুটি গ্রামকে সংযুক্ত করেছে ইউনিয়নের সঙ্গে। এখন মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারছেন। উপকূল অঞ্চলে জোয়ার-ভাটা হয়। এটি বিশেষভাবে নির্মিত। পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে সেতু উপরে ভেসে উঠবে। আবার ভাটায় এটি স্বাভাবিক থাকবে।’
আহসানুর রহমান রাজীব/এএএইচ