‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সবার সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি’
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে হবে না। এক্ষেত্রে সবার সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি। গাড়িচালকদের সচেতন করার পাশাপাশি শিক্ষিত জনগোষ্ঠী যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে শব্দদূষণ না করে, তাহলে আমরা সবাই এ যন্ত্রণা ও দুর্ভোগ থেকে রেহাই পাবো।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সকালে মাগুরা জেলার সার্কিট হাউস সভাকক্ষে পরিবেশ অধিদফতরের ‘শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প’র আওতায় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
যশোর জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সাঈদ আনোয়ারের সভাপতিত্বে ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির লেকচারার আব্দুল্লাহ আল নাঈমের সঞ্চালনায় এই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মাগুরা জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহাদাত হোসেন মাসুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিম উল্লাহ। আরো বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীবৃন্দ।
প্রধান অতিথি বলেন, সবার আগে আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। স্কুল, কলেজে পাঠদানে আমাদের এ বিষয়েকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সবাই যদি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি, তাহলে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিম উল্লাহ বলেন, শব্দদূষণ আইন বাস্তবায়নে আমাদের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। শুধু আইন প্রয়োগ করে এ সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। ব্যাপকহারে সচেতনতা বাড়াতে হবে। ড্রাইভার, যুবক সমাজ বিশেষ করে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে এ বিষয়ে কাজ করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। আর শব্দদূষণের আইন বিষয়ে সবাইকে সচেতন করতে হবে।
মো. সাঈদ আনোয়ার বলেন, প্রতিটি শহরের ব্যস্ত এলাকা চিহ্নিত করা দরকার। সেখানে মিটার স্থাপন করা দরকার যাতে মানুষ রিডিং দেখে সচেতন হতে পারে।
পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালিত শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় সারাদেশের শব্দদূষণের ওপর জরিপ করছে ইকিউএমএস কনসালটিং লিমিটেড এবং বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যায়ণ কেন্দ্র (ক্যাপস)। তারই অংশ হিসেবে রোববার বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যায়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদারের নেতৃত্বে পরিচালিত টিম মাগুরা শহরে শব্দদূষণের মাত্রা জানতে ৫ স্থানে সাউন্ড লেভেল মিটার স্থাপন করে। এ মেশিনটি প্রতি এক মিনিট পরপর তথ্য দেবে। যার মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার শব্দদূষণের মাত্রা জানা যাবে।
এফএ/জেআইএম