বিয়ে করতে এসে কনে ছাড়াই ফিরে গেলেন বর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর
প্রকাশিত: ০৯:৫৬ পিএম, ২৫ মার্চ ২০২২
বাল্যবিয়ের খবর শুনে কিশোরীর বাড়িতে ছুটে আসেন ইউএনও তানজিলা কবির ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন আক্তার

বরবেশে বিয়ে করতে এসেছিলেন মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার চরপাঙ্গাশিয়া গ্রামের মাইনুল মোল্লা (৩৫)। সঙ্গে ছিলেন সহযাত্রীরা। বরের অভিভাবক হিসেবে এসেছিলেন ভগ্নিপতি মো. কোহিনুর হোসেন। ভোজপর্বও সেরে নেন তারা।

তবে শেষ পর্যন্ত আর বিয়ে হয়নি। পাত্রী একজন কিশোরী। বয়স ১৭ বছর। বাল্যবিয়েটি বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন।

শুক্রবার (২৫ মার্চ) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নে এমনই ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী জানায়, বিয়ের আয়োজনের আগে কিশোরীর বাড়িতে বরযাত্রীরা খাওয়া-দাওয়া করেন। খাওয়া-দাওয়ার পরই বিয়ে পড়ানোর কথা ছিল। এ খবর শুনে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে কিশোরীর বাড়িতে হাজির হন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানজিলা কবির। তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন আক্তার।

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত ওই কিশোরীর বিয়ে আয়োজন করবেন না মর্মে বর মাইনুল মোল্লা, বরের অভিভাবক কোহিনুর হোসেন ও মেয়ের বাবা মান্নান মিয়ার কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিলা কবির জাগো নিউজকে বলেন, কিশোরীর বাবা স্ট্রোকজনিত কারণে শয্যাশায়ী। ফলে মানবিক দিক বিবেচনা করে শাস্তি না দিয়ে উভয় পক্ষের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের সর্তক করে দেওয়া হয়। বিষয়টি দেখভাল করার জন্য ওই এলাকার বাসিন্দা এক প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এন কে বি নয়ন/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।