ভোলায় পানিবন্ধী কয়েক শত পরিবার
মেঘনায় অতিরিক্ত জোয়ারে ভেঙ্গে গেছে ভোলা শহররক্ষা বাঁধ। শহরতলীর নাছিরমাঝি এলাকায় বাঁধের ১০ ফুট অংশ ভেঙে পানি প্রবেশ করায় ধনিয়া ইউনিয়নের ৯গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে কয়েক শত পরিবার। জরুরী ভিত্তিতে বাঁধের ভাঙা অংশ মেরামত করা না হলে পানিতে ভোলা শহর প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে।
ধনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন জানান, ওসামবার দুপুরের দিকে বাঁধে ফাটল দেখা দিলে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানাই। কিন্তু তারা কোন ব্যাবস্থা না নেয়ায় বিকেলে বাঁধের বিশাল অংশ ভেঙে এলাকায় পানি প্রবেশ করে।
জোয়ারের পানিতে প্লাবিত ভোলার ৩টি উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের লাখো মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে। অস্বাভাবিক জোয়ারে ৩য় দিনের মত প্লাবিত হয়েছে ওই সব ইউনিয়নের অন্তত ৫০টি গ্রাম। ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট, পুকুর, ঘের ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। পানিবন্ধী লাখো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক মো. সেলিম রেজা সোমবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে সহযোগগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। দ্রুত বাঁধ মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, ভোলার চরফ্যাশন, মনপুরা ও দৌলতখান এ ৩টি উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে তিন দফা জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউনিয়নগুলো হচ্ছে, চরফ্যাশনের মাদ্রাজ, হাজারীগঞ্জ, মুজিব নগর, আসলামপুর, কুকরী-মুকরী, ঢালচর, জাহানপুর, মনপুরার দক্ষিন সাকুচিয়া, উত্তর সাকুচিয়া, মনপুরা ও হাজিরহাট এবং দৌলতখান উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়ন। এসব এলাকার কোথাও বাঁধ নেই, কোথাও মহাসেনে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত হয়নি, কোথাও নির্ধারিত সময়ে বাঁধ মেরামত হয়নি আবার কোথায় কখনই বাঁধ ছিল না। পূর্নিমায় সৃষ্ট জোয়ারের চাপে ভোলার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে এসব এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। প্লাবিত হচ্ছে উপকূলের নির্মাঞ্চলও।