ঝিনাইদহে স্কুলের জমি দখল করে দোকান নির্মাণ
স্কুলের জমি দখল করে ৩২টি দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার জিয়ালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করে বলেন, ১৯৯৯ সাল থেকে স্থানীয় প্রভাবশালীরা পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করছে। এ ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সরেজমিন পরিদর্শন করে সত্যতাও পেযেছেন। তবে দীর্ঘ দিনেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ।
স্কুলের সভাপতি আতিয়ার রহমান জানান, মোট ৫৭ শতক জমির উপর স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। যার হালদাগ নং ৩১১, ৩১২, ৩১৩ এবং ৩১৪। কিন্তু হালদাগ ৩১১ নম্বরে ২৯ শতক জমি দীর্ঘদিন বেদখল রয়েছে। সেখানে স্থানীয় প্রভাবশালীরা পাকা দোকান ঘর তৈরি করে ব্যবসা করে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত। মাঝে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবার ১৯৮৫ সালে পুনরায় চালু হয়। এরপর ২০১৩ সালে জাতীয়করণ হয়। এখন মোট ৮ জন শিক্ষক ২৮৪ জন ছাত্র-ছাত্রীকে প্রতিদিন পাঠদান করছেন। গত বছর ৯ মার্চ সরেজমিন পরিদর্শন করেন তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা অফিসার (প্রাথমিক) জিএম কামাল হোসেন। সরকারি স্কুলের জায়গা দখল করে সেমিপাকা দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করার সত্যতা পান। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাসুদ কবির বলেন, স্কুলের জায়গাটি বেদখল হয়ে আছে জেনে সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা দাবি করেন, যেহেতু ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করছেন তাই ঘর না ভেঙে স্কুল কর্তৃপক্ষকে মাসিক চুক্তিতে ভাড়া দিয়ে একটা সমাধান করা যায় কিনা। তবে দ্রুতই একটা ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
এসএস/পিআর