অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রি বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
ট্রেনের অনলাইন টিকিট বিক্রয় বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। অফলাইন টিকিট কাউন্টারগুলো খোলা থাকায় হাতের লেখা টিকিট দিতে হিমশিম খাচ্ছেন রেলওয়ের বুকিং সহকারীরা।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে রাজশাহী রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, টিকিট নিতে যাওয়া যাত্রীদের দীর্ঘ সারি। তবে টিকিট বিতরণ মন্থর হলেও সবাই পাচ্ছেন টিকিট। তবে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রায় ১৩ বছর ধরে রেলওয়েতে সিএনএস (কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম) নামক একটি সফটওয়ার কোম্পানি টিকিট বিক্রয় নেটওয়ার্কিং সিস্টেম সেবা দিয়ে আসছিল। বর্তমানে সিএনএস থেকে ‘সহজ’ নামক আরেকটি ডেটাবেজভিত্তিক সফটওয়ার কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয় রেলের। ফলে ২১ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত সারাদেশে ট্রেনের অনলাইন টিকিট বিক্রয় বন্ধ রয়েছে। এ সময় থেকে এসএমএসের মাধ্যমে টিকিট ক্রয়-বুকিং, ই-টিকিট ও রেল সেবা এ্যাপসহ সবধরনের অনলাইন সেবাগুলো বন্ধ রয়েছে।
স্টেশন কাউন্টার থেকে টিকিট নিয়ে ফিরছিলেন মাজেদুল ইসলাম মামুন নামের এক ব্যক্তি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকাল ৮টার দিকে স্টেশনে আসি। ঘণ্টা দেড়েক দাঁড়ানোর পর টিকিট পেয়েছি। তবে যারা দেরি করে এসেছেন তাদের টিকিটের জন্য আরও বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শ্রাবন্তী নামের এক তরুণী জাগো নিউজকে জানান, ঢাকায় যেতে টিকিটের জন্য স্টেশনে এসেছি। অফলাইনে টিকিট কাটার সুবিধা চালু থাকলে এতো লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো না।
নগরীর আরডিএ মার্কেটের আব্দুস সালাম নামের এক গামেন্টর্স ব্যবসায়ী বলেন, অধিকাংশ সময়তেই টিকিট পাওয়া যায় না। তাই কখনো অনলাইনে আবার কখনো স্টেশনে এসে টিকিট কাটি। কিন্তু সার্ভার পরিবর্তন জনিত কারণে নাকি হাতেই টিকিট দিচ্ছে। একারণে প্রচুর সময় নষ্ট হচ্ছে।
রাজশাহী রেলস্টেশনের প্রধান বুকিং সহকারী মো. আব্দুল মোমিন বলেন, ভোগান্তিতে শুধু যাত্রীরাই নয়, আমরাও রয়েছি। সারাদিন টিকিট লিখতে লিখতে অস্থির। তবে খুব বেশিদিন এ কষ্ট থাকবে না।
এ বিষয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলের ব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ডাটাবেজের মাধ্যমে কম্পিউটারে টিকিট প্রিন্ট হয়ে বের হতো। তাতে সময় কম লাগে। কিন্তু এখন প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন হয়েছে। নতুন প্রতিষ্ঠান এনিয়ে কাজ করছে।
ফয়সাল আহমেদ/আরএইচ/এএসএম