সিলেটে দু’দিন ব্যাপি ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা শুরু
এক্সসেস টু ইনফরমেশন-এটুআই ও সিলেট জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে বুধবার থেকে সিলেট জেলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন মোহাম্মদ আলী জিমনেসিয়ামে দু’দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা শুরু হয়েছে।
এ উপলক্ষে বুধবার দুুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মেলাস্থলে গিয়ে শেষ হয়। পরে ফিতা কেটে উদ্ভাবনী মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মঈন উদ্দিন।
মেলার উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মঈন উদ্দিন বলেন, আমাদের কেউ দমিয়ে রাখতে পারবেনা। ডিজিটাল সেবা গ্রহণের মাধ্যেমে তরুণ প্রজন্ম সময়কে লাগাচ্ছে। দেশ যত বেশি ডিজিটাল হবে দুর্নীতি তত কমবে।
সিলেটের এই কৃতি সন্তান আরো বলেন, আমরা সেবক, জনগণের সেবা প্রদানের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা যদি একটি ভালো কাজ করতে পারি তাহলে মানুষের ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবো। আমাদের একটি ভিশন আছে। ২০২১ সালের মধ্যে আমাদের মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার টার্গেট।
সিলেটের জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগামের মানিক মাহমুদ, সিলেটের সিভিল সার্জন আমিনুল ইসলাম, ভূমি মন্ত্রণায়ের উপ-সচিব মাহবুবুর রহমান ভূইয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফরের উপ-পরিচালক ড. নূরুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি) শহীদ মোহাম্মদ সাইদুল হক।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেটের জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছিলেন তখন অনেকেই একে বিদ্রুপ করেছিলেন। কিন্তু এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন চরম বাস্তবতা। এখন গ্রামের মানুষ ফটোস্ট্যাটসহ বিভিন্ন সেবা গ্রামে বসেই পাচ্ছে।
মেলায় ৫ জন গ্রাহকের মধ্যে পর্চা হস্তান্তর করা হয়। একই সঙ্গে যারা আজকে পর্চার জন্য আবেদন করবেন তাদেরকে আগামীকাল মেলার মধ্যেই পর্চা হস্তান্তর করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম।
দু’দিনব্যাপি মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এবারের বিশেষ আয়োজনে থাকছে ১০টি সামাজিক সমস্যা সমাধানের জন্য ‘সলভ-এ-থোন’ প্রতিযোগিতা। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করবে। পাশাপাশি মেলা চলাকালে ই-কমার্স ও আউটসোর্সিং বিষয়ক দু’টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
৪টি প্যাভিলিয়নে ৪২টি স্টলে সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। সরকারি ই-সেবা প্যাভিলিয়নে ই-পর্চা আবেদন গ্রহণ ও ডেলিভারি, ব্যাংক, বীমাসহ সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ই-সেবাসমূহ, বিআরটিএ অনলাইন লাইসেন্স কার্যক্রম, অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন গ্রহণ, ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন, ডিজিটাল সেন্টারের স্টল হতে মোবাইল ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিংসহ ১০৭ সেবা এবং ডাক বিভাগের অনলাইন কার্যক্রম প্রদর্শন করা হচ্ছে।
মেলায় কুইজ প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও বিশেষ অনলাইন র্যাফেল ড্র এর ব্যবস্থা রয়েছে। মেলায় সরকারি ই-সেবা, শিক্ষা, ই-কমার্স, তরুণ উদ্ভাবক-প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রয়েছে।
ছামির মাহমুদ/এমএএস/এমএস