বনফুলের কর্মী খুনের ঘটনায় আরো দু’জনের রিমান্ড


প্রকাশিত: ০৯:২৪ এএম, ১৩ জানুয়ারি ২০১৬

সিলেট শহরতলির খাদিমপাড়া বিসিক শিল্প নগরীর অভ্যন্তরে খাদ্যসামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বনফুল অ্যান্ড কোং লিমিটড এর দুই কর্মী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আরও দু’জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আদালতে শাহপরান থানার জিআরও রিটন দাস জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মনিরুল ইসলাম মহানগর হাকিম আদালত-৩ এ আসামিদের সাতদিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। বুধবার দুপুরে মহানগর হাকিম ৩য় আদালতে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মামুনুর রহমান সিদ্দীকী আসামি আলমগীর হোসেনের ২দিন ও সৈয়দ রায়হান আহমদ সানির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, এর আগে জোড়া খুনের ঘটনায় তিন আসামির একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। এ নিয়ে খুনের ঘটনায় মোট ৫ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ায় পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
 
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সাড়ে ৭টার দিকে সিলেটের খাদিমপাড়া বিসিক শিল্প নগরীর ভেতরে একটি মাইক্রোবাসে করে অজ্ঞাত কয়েক যুবক রাজু মিয়া, (১৯), তপু মিয়া (২৫) ও রাসেল আহমদকে (২২) ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে ফেলে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী হাসাপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজু ও তপুকে মৃত ঘোষণা করেন। রাসেলের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

রাজু চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বড্ডা গ্রামের হারুনুর রশীদের ছেলে এবং তপু মিয়া শরিয়তপুর জেলার ধামুড্যা উপজেলার বনীগ্রামের আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় আহত রাসেল আহমদ (২২) সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বলদি গ্রামের মৃত শাহ আলমের ছেলে।

ছামির মাহমুদ/এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।