সিলেটে রেস্টুরেন্টসহ তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা


প্রকাশিত: ১১:৪৪ এএম, ১২ জানুয়ারি ২০১৬

এখন থেকে যেসব হোটেল-রেস্টুরেন্ট বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্দিষ্ট সময় এবং নির্ধারিত স্থান ব্যতীত যত্রতত্রভাবে ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখবেন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মঙ্গলবার সিটি কর্পোরেশন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে নগরের পাঁচভাই রেস্টুরেন্টসহ তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে এই নিয়ম লঙ্ঘন করার কারণে জরিমানা করা হয়েছে।

বেলা ১২টায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরীফুজ্জামানের নেতৃত্বে এই অভিযান শুরু হয়। প্রথমেই বন্দরবাজারের হাসান মার্কেটের গলির মার্কেটে অভিযান পরিচালন করা হয়। এ সময় এই মার্কেটের জননী পেপার হাউজকে সিটি কর্পোরেশনের নির্দিষ্ট সময় ও নির্ধারিত স্থান ব্যতীত পার্শ্ববর্তী ড্রেনের মধ্যে ময়লা ফেলার কারণে জরিমানা করা হয়।

এরপর লালবাজারের মার্কেটের পোল্ট্রির দোকানগুলোতে অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় ময়লা আবর্জনা নির্ধারিত স্থানে না ফেলার কারণে ইত্যাদি পোল্ট্রি ফার্মকে জরিমানা করা হয়। এরপর জিন্দাবাজার এলাকার বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে পাঁচভাই রেস্টুরেন্টকে নির্ধারিত স্থানে ময়লা না ফেলে যত্রতত্র স্থানে ফেলার কারণে জরিমানা করা হয়।

বেলা আড়াইটা পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সতর্কও করে দেয়া হয়।

অভিযান চলাকালে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরীফুজ্জামান জানান, সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত ডাস্টবিনে এবং নির্দিষ্ট সময়ে ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য বারবার অনুরোধ করার পরও যারা তা লঙ্ঘন করছেন-পরিবেশ দূষণ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে যথযাথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে এই মোবাইল কোর্ট ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

অভিযান চলাকালে চিফ কনজারভেন্সী অফিসার মো. হানিফুর রহমান জানান, সিটি কর্পোরেশনের নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে রাত ৮টা থেকে ১১টার মধ্যেই ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য বারবার তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও অনেকেই দীর্ঘদিন থেকে তা অনুসরণ করছেন না। বাসা-বাড়ির এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে সকল নগরবাসীর স্বার্থেই সিটি কর্পোরেশনের বেধে দেয়া সময় এবং নির্ধারিত স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেলার আহ্বান জানান তিনি।

ছামির মাহমুদ/এআরএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।