ভাইরাল মদের দোকানের সেই সাইনবোর্ড নামালো প্রশাসন
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে মদের দোকানের সাইনবোর্ডের একটি এডিট করা ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সেই ছবির মাঝখানে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। ছবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় বিরূপ মন্তব্য করছেন অনেকে। পরে স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি জানতে পেরে মঙ্গলবার (৮ মার্চ) দুপুরে সাইনবোর্ডটি নামিয়ে ফেলে।
সাইনবোর্ড নামানোর বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান খান।
ভাইরাল হওয়া সেই সাইনবোর্ডের ওপরে লেখা রয়েছে—‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত। সরকারি দোকান দেশি মদের দোকান’। নিচে লেখা রয়েছে—‘নালিতাবাড়ী রোড, হালুয়াঘাট, ময়মনসিংহ। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকা, বাংলাদেশ’।
সাইনবোর্ডের ওপরের ডান পাশে আছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি। বাম পাশে রয়েছে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক।
সাইনবোর্ডের মূল ছবি এডিট করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি বসিয়ে দেওয়া হয়েছে
ওই ছবির বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন বলছে, হালুয়াঘাটে নালিতাবাড়ি রোড এলাকায় সরকার অনুমোদিত একটি দেশিয় মদের দোকান আছে। সেখানে একটি সাইনবোর্ডও আছে। তবে, সাইনবোর্ডে কোনো ছবি নেই। ওই ছবিটি কেউ তুলে এডিট করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি বসিয়ে দিয়েছে। পরে বিতর্ক শুরু হলে সাইনবোর্ডটি সরিয়ে ফেলা হয়।
এডিট করা ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে সুমন আহম্মেদ নামের একজন লিখেছেন, ‘হালুয়াঘাটের ঐতিহ্য এখন দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে খ্যাতি অর্জন করেছে। মদ যদি অবৈধ ও হারাম পানীয় হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ ব্যানার দিয়ে কীভাবে প্রকাশ্যে মদ বিক্রি করে?’
কাজী জহির নামের আরেকজন ছবিটি শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‘জাস্ট ছি ছি’
তবে মোহাম্মদ মাসুদ করিম শান্ত নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী প্রকৃত সাইনবোর্ডের একটি ছবি পোস্ট করে অনেককে শেয়ার করেন। ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ছবিটি আজ আমার নিজের হাতে তোলা। সাইনবোর্ডে কোনো ছবি নেই।’
এ বিষয়ে হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘বিষয়টি নজরে আসার পর সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে, কেউ ইচ্ছা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেক ছবি ছড়িয়ে দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে।’
ওসি মো. শাহিনুজ্জামান খান বলেন, ‘যে বা যারা প্রধানমন্ত্রীর ছবি এডিট করে সাইনবোর্ডে বসিয়েছেন, তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
মঞ্জুরুল ইসলাম/এসআর/জেআইএম