ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে আহত পুলিশ সদস্যকে ঢাকায় প্রেরণ


প্রকাশিত: ০৮:১০ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০১৬

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষে তিন পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন। তারা হলেন সদর মডেল থানা পুলিশের কনস্টেবল রাজিব চন্দ্র দাস (২৪), আবদুল বারেক (৫০) ও গোলাম সামদানি (২৭)। এদের মধ্যে কনস্টেবল রাজিবকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) তাপস রঞ্জন ঘোষ জাগো নিউজকে জানান, তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যায় মাদ্রাসা ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের তিন সদস্য আহত হন। পরে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় কনস্টেবল রাজিবকে ঢাকায় প্রেরণ করেন।

এর আগে, বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার এক ছাত্র মোবাইল ফোন কেনার জন্য জেলা পরিষদ মার্কেটের বিজয় টেলিকমে যান। এসময় মোবাইল ফোনের দাম নিয়ে বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে দোকানদার ওই ছাত্রকে থাপ্পড় দেন। এ ঘটনার পর জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা থেকে অর্ধশত ছাত্র বিজয় টেলিকমে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে মাদ্রাসা ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এসময় পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও মাদ্রাসা ছাত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষ চলাকালে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ২০/২৫টি ককেটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।

আজিজুল আলম সঞ্চয়/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।