অপহরণকারী চক্রের পাঁচ সদস্য আটক : শিক্ষার্থী উদ্ধার
অপহরণকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-৫, রাজশাহীর সদস্যরা। সেই সঙ্গে অপহৃত ছাত্র আনিছুর রহমানকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বেলা পৌনে ২টার দিকে নগরীর মতিহার থানার সমসাধিপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
অপহৃত আনিছুর রাজশাহী পলিটেনিক ইন্সটিটিউটের ষষ্ঠ পর্বের ছাত্র এবং নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার আব্দুল হান্নানের ছেলে।
আটকরা হলেন, রাজশাহী নগরীর বড়বনগ্রাম চকপাড়া এলাকার আব্দুল গফুরের মেয়ে লিমা (১৮), তার ভাই সোহাগ (২০), তার মা লতিফা বেগম (৪৫) এবং সমসাধীপুর এলাকার মৃত আব্দুল মন্ডলের ছেলে বাদশা (৫২) ও লিটন আলী (৩৭)।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে আনিছুর রহমান নগরীর আমচত্বর (নওদাপাড়া) থেকে তার ছাত্রাবাসে ফিরছিলেন। এরপর তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজ করেও কোনো সন্ধান পাননি।
রোববার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে অপহৃতের বাবা আব্দুল হান্নানকে ফোন করে জানানো হয়, তার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। এ সময় ওই ব্যক্তি অপহৃত আনিছুরের বাবার কাছে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অন্যথায় তার ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়।
এদিন সন্ধ্যায় আব্দুল হান্নান রাজশাহী র্যাব-৫, রাজশাহীর অধিনায়ক বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এরপর থেকেই র্যাব সদস্যরা অপহৃতকে উদ্ধার এবং আসামিদের গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে র্যাব-৫, রাজশাহীর একটি বিশেষ অপারেশন দল নগরীর বড়বনগ্রাম (চকপাড়া) এলাকা থেকে সোহাগ ও লতিফা বেগম নামের দুই অপহরণকারীকে আটক করেন। তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নগরীর সমসাধিপুর এলাকা থেকে অপহরণের মূলহোতা লিমাসহ বাদশা ও লিটন আলীকে আটক করা হয়। এরপর তাদের কাছ থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
বর্তমানে আটকদের র্যাব-৫ রাজশাহীর সদর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গেছে।
শাহরিয়ার অনতু/এআরএ/আরআইপি