সমর্থকদের ১৬ মোটরসাইকেল কিনে দিয়ে কথা রাখলেন ইউপি চেয়ারম্যান
পঞ্চম ধাপে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর ওই ইউনিয়নের কচুয়াহাট এলাকায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়সহ কর্মী-সমর্থকদের ১৬টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এসময় আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশারফ হোসেন সুইট প্রতিশ্রুতি দেন প্রত্যেককে নতুন মোটরসাইকেল কিনে দেবেন।
নির্বাচনে বিজয়ী হন মোশারফ হোসেন সুইট। গত ৩ ফেব্রুয়ারি শপথ নেন। চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ২১ দিনে ব্যক্তিগত অর্থায়নে নতুন মোটরসাইকেল কিনে দিয়ে প্রতিশ্রুতি রেখেছেন এই ইউপি চেয়ারম্যান।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মোটরসাইকেলগুলো হস্তান্তর করা হয়। পালসার, অ্যাপাচি, ডিসকভার, বাজাজ, টিভিএসসহ বিভিন্ন মডেলের ১৬টি মোটরসাইকেল কিনতে চেয়ারম্যানের খরচ হয়েছে ২০ লাখেরও বেশি।
নতুন মোটসাইকেল পেয়ে মাসুদ, সাইদুর ও অলিউরসহ কয়েকজন বলেন, দলীয় স্বার্থে নির্বাচনী কাজে গিয়ে তাদের মোটরসাইকেলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই সময় মোশারফ হোসেন সুইট কথা দিয়েছিলেন নির্বাচিত হলে তিনি নতুন মোটরসাইকেল কিনে দেবেন। তিনি কথা রেখেছেন। নতুন মোটরসাইকেল পেয়ে তারা অনেক খুশি হয়েছেন।
প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে প্রশংসায় ভাসছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত এই চেয়ারম্যান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নিজ এলাকায় তাকে নিয়ে আলোচনা চলছে। মোশারফ হোসেন সুইট পরপর তিনবার ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে সাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদে দায়িত্ব পালন করছেন।
এ বিষয়ে সাঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট বলেন, ‘নির্বাচনী সহিংসতায় যাদের মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারা দলের একনিষ্ঠ কর্মী ও আমার সমর্থক। মোটরসাইকেলগুলো নির্বাচনী কাজে আনা হয়েছিল। এগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তারা বিপাকে পড়েন। বিষয়টি আমাকে ভাবিয়ে তোলে। এজন্য আমি তাদের নতুন মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিই। সে অনুযায়ী আমি আমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি।’
মোটরসাইকেল হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম, সাঘাটা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান দুলু, সাঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়ারেছ আলী প্রধান, সাধারণ সম্পাদক শামসীল আরেফিন টিটু এবং সাঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইটসহ ইউপি মেম্বাররা।
জাহিদ খন্দকার/এসআর/এএসএম