বগুড়ায় আকিজ গ্রুপের ডিপো অফিসে ডাকাতি : মামলা হয়নি
বগুড়ায় আকিজ গ্রুপের গোডাউনে রাতের আঁধারে নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্রের মুখে বেঁধে ও চেতনানাশক ইনজেকশন পুশ করে ১২ লাখ টাকা ডাকাতি হয়েছে। তবে পুলিশ বলেছে ডাকাতি নয় চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর প্রায় ৩৬ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও রোববার রাত ৮টা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।
বগুড়া শহরের প্রথম বাইপাস রোড সংলগ্ন তেলিপুকুর এলাকায় আকিজ গ্রুপের ফুড অ্যান্ড বেভারেজ এবং আকিজ কর্পোরেশনের ডিপো রয়েছে। এখান থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পণ্য বিক্রি করা হয়।
শনিবার রাতে ঘটলেও পুলিশ কিংবা ডাকাতি হওয়া প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীরা প্রথমে বিষয়টি চেপে রাখে। সন্ধ্যায় ডিপোর সিনিয়র স্টোরকিপার রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জানান, শনিবার রাত আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে ২০-২৫ জন অস্ত্রধারী ব্যক্তি গোডাউনের জানালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা কর্তব্যরত ৯ জন নিারপত্তাকর্মীকে পর্যায়ক্রমে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। তাদের প্রত্যেকের হাত পা বেঁধে বেদম মারপিট করার পর চেতনানাশক ইনজেকশন পুশ করে ডাকাতদলের সদস্যরা। এর ফলে নিরাপত্তা কর্মীরা অচেতন হয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে। এসুযোগে ডাকাত দল গোডাউনের দুইটি ভল্ট ভেঙে নগদ ১২ লাখ টাকা লুট করে। চলে যাওয়ার সময় নিজেদের সঙ্গে আনা একটি তালা গোডাউনের প্রধান গেটে লাগিয়ে দেয়। ডাকাত দল গোডাউন ত্যাগের পর নিরাপত্তা কর্মীরা কান্নাকাটি করতে থাকে। এসময় চিৎকার চেঁচামিচির শব্দ পেয়ে ডিউটি পুলিশ তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। পরে বেঁধে রাখা নিরাপত্তা কর্মীদের উদ্ধার করা হয়। মারপিটে গুরুতর আহত নিরাপত্তা কর্মী এমদাদুল হককে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
বগুড়া শহরের ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ টিএসআই শাহ আলম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সেখানে অবস্থানরত কর্মচারীরা জানিয়েছে ডাকাতদল ভোল্ট ভেঙে ১২ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়েছে।
বগুড়া সদর থানা পুলিশের ওসি আবুল বাশার জানান, সেখানে ডাকাতি নয় চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি তবে সেখানকার কর্মরত নিরাপত্তাকর্মীদের পর্যায়ক্রমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
লিমন বাসার/এমএএস/আরআইপি