ডুবের মেলায় হাজারো মানুষের ভিড়

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ০৭:৪৮ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২
গঙ্গাস্নান করছেন মেলায় আগতরা

টাঙ্গাইলের বাসাইলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ডুবের মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বংশাই নদীর পূর্ব-উত্তর তীরে রাশড়া-সৈয়দামপুর গ্রামে দিনব্যাপী কয়েক হাজার লোকের সমাগমে এ মেলায়।

দেবতার (মাদব ঠাকুর) মূর্তিতে প্রণাম করে ভোরে গঙ্গাস্নানের মাধ্যমে মেলা বা পূজার কার্যক্রম শুরু হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের পাপ মোচনে ভোরে মানত ও গঙ্গাস্নান পর্ব শেষ করেন।

ডুবের মেলায় হাজারো মানুষের ভিড়

স্থানীয়রা জানান, ব্রিটিশ আমলে মাদব ঠাকুরের মূর্তি প্রতিস্থাপন করে মনোবাসনা পূর্ণ করতে গঙ্গাস্নান, পূজা করে আসছেন। ফলে অনেকেই সফল হয়েছেন। তখন থেকে গঙ্গাস্নান, পূজা চলতে থাকে। পরে স্থানীয় সনাতনীরা একে মেলা এবং আনন্দ উৎসব হিসেবে পালন করে আসছে। ওই সময় থেকে এটা (ডুবের মেলা) নামে পরিচিত। নারী-পুরুষ ও কিশোর-কিশোরীরা স্নান উৎসবে অংশ নেন।

মেলায় বিভিন্ন মিষ্টিজাতীয় খাবার, বাঁশ-বেতের আসবাবপত্র, মাটির তৈরি খেলনা, হাঁড়িপাতিল, বড় মাছ এবং চিড়া-দই, খইসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে দোকানিরা পসরা সাজিয়ে বসেন।

ডুবের মেলায় হাজারো মানুষের ভিড়

মেলায় আসা অজিত পাল বলেন, ছোটকাল থেকে দেখে আসছি এ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কয়েক বছর পর মেলায় এলাম। সকালে স্নান করেছি। এখন মেলায় ঘুরছি। অনেক মানুষের সমাগম হয়েছে।

যমুনা রানী পাল বলেন, আজ মাঘীপূর্ণিমা। এ মাঘীপূর্ণিমার মধ্যে ডুবের মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় এসে গঙ্গাস্নান ও পূজা দিয়েছি।

ডুবের মেলায় হাজারো মানুষের ভিড়

মেলায় ছোটদের খেলনা বিক্রেতা সুকুমার সাহা বলেন, ছোট সময় বাপ-দাদার সঙ্গে ডুবের মেলায় আসতাম। এখন দোকান নিয়ে আসি। সকালে বেচাকেনা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেচাকেনা বাড়তে থাকে।

মেলার আয়োজক কমিটির সভাপতি জীবন মণ্ডল বলেন, প্রায় দেড়শ বছর ধরে মাঘীপূর্ণিমার সময় এ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমি এ মেলায় ষাট বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছি। মেলা উপলক্ষে দূর-দূরান্ত থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মের কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়।

আরিফ উর রহমান টগর/আরএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।