স্কুলছাত্রীকে একসঙ্গে দেওয়া হলো ৪ ডোজ টিকা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নেত্রকোনা
প্রকাশিত: ০৫:২৯ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২
স্কুলছাত্রী আদিবা বিনতে আজিজ ও তার মা রাজিয়া সুলতানা

নেত্রকোনার মদনে আদিবা বিনতে আজিজ (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রীকে পর পর চার ডোজ করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আদিবা বিনতে আজিজ পৌরসভার মাহমুদপুর গ্রামের আজিজুল হকের মেয়ে এবং মদন শহীদ স্মরণিকা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল থেকে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিক্ষার্থীদের টিকা প্রয়োগ শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিক্ষার্থী আবিদা বিনতে আজিজ টিকা নিতে হাসপাতালে আসে। এরপর টিকা গ্রহণের জন্য চেয়ারে বসলে টিকাদান কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকা এক নার্স মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে আবিদাকে পরপর চার ডোজ ভ্যাকসিন দেন।

পরে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। খবর পেয়ে শিক্ষার্থীর মা ও স্বজনরা হাসপাতালে আসার আগেই অভিযুক্ত নার্সকে সরিয়ে নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষার্থীর মা রাজিয়া সুলতানা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়েকে পরপর চার ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এতে আমার মেয়ে কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক রিফাত সাঈদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। মেয়েকে নিয়ে আমি দুশ্চিন্তায় আছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক রিফাত সাঈদ জাগো নিউজকে বলেন, কোন নার্স ওই ছাত্রীকে চার ডোজ ভ্যাকসিন দিয়েছে তাকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে ছাত্রীর স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়েছে।

খারাপ আচরণের বিষয়ে অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘তাদের সঙ্গে কোনোরকম খারাপ আচরণ করা হয়নি’

এ ব্যাপারে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ওই ছাত্রী ও তার স্বজনদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মনোযোগী হয়ে টিকা দিতে সব নার্সকে সতর্ক করেছি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।’

এইচ এম কামাল/এসজে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।