বনফুলের দুই কর্মী খুনের ঘটনায় মামলা : আটক ৩


প্রকাশিত: ০৬:৪১ এএম, ০৯ জানুয়ারি ২০১৬

সিলেট শহরতলির খাদিমপাড়া বিসিক শিল্প নগরীর অভ্যন্তরে খাদ্যসামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বনফুল অ্যান্ড কোং লিমিটেড এর দুই কর্মী খুনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার রাত দেড়টায় মহানগর পুলিশের শাহপরান থানায় নিহত রাজু মিয়ার বড়ভাই মাসুদ পারভেজ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

এদিকে, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে খাদিম বিসিক শিল্প নগরীরর সামনে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধের করে বিক্ষোভ করেছে হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা। পরে পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে খুনিদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে বেলা সাড়ে ১১ টায় অবরোধ তুলে নেয় শ্রমিকরা।

সিলেট হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. সাদিক মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, দ্রুত জড়িতদের গ্রেফতার না করা হলে শ্রমিকরা কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।

শাহপরান থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে বলেন, নিহত রাজু মিয়ার ভাই মাসুদ পারভেজ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর শুক্রবার রাতেই পংকী, রকি ও জামাল নামে তিনজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। জড়িতদের গ্রেফতারে সব ধরনের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সিলেটের খাদিমপাড়া বিসিক শিল্প নগরীর ভেতরে একটি মাইক্রোবাসে করে অজ্ঞাত কয়েক যুবক রাজু মিয়া, (১৯), তপু মিয়া (২৫) ও রাসেল আহমদকে (২২) ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে ফেলে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী হাসাপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজু ও তপুকে মৃত ঘোষণা করেন। রাসেলের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

রাজু চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বড্ডা গ্রামের হারুনুর রশীদের ছেলে এবং তপু মিয়া শরিয়তপুর জেলার ধামুড্যা উপজেলার বনীগ্রামের আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে। আর আহত রাসেল আহমদ (২২) সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বলদি গ্রামের মৃত শাহ আলমের ছেলে।

ছামির মাহমুদ/এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।