ওসমান পরিবার খুনি পরিবার : ত্বকী মঞ্চের বক্তারা


প্রকাশিত: ০৫:৫০ পিএম, ০৮ জানুয়ারি ২০১৬

নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারকে খুনি পরিবার হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী মঞ্চের নেতৃবৃন্দরা। বক্তারা বলেন, ত্বকীকে হত্যা করে ওসমান পরিবার প্রমণে করেছে তারা নারায়ণগঞ্জে যতগুলো খুন হয়েছে ওসমান পরিবারের ধারায় হয়েছে। তাদের ধারায় যারা সন্তান হারিয়েছেন তারাই এখন বুঝতে পারছেন সন্তান হারানোর যন্ত্রণা কত কষ্টদায়ক। একদিন এই খুনি ওসমান পরিবারের বিচার নারায়ণগঞ্জের মাটিতেই হবে।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের ৫নং খেয়াঘাট এলাকায় ত্বকীর হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দ্রুত অভিযোগপত্র প্রদানের দাবিতে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের মাসিক কর্মসূচির অংশ হিসাবে মোম শিখা প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানের বক্তারা এসব কথা বলেন।

মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীর হত্যার ৩৪ মাস পেরিয়ে গেলেও হত্যাকাণ্ডের চার্জশিট না দেয়ায় ক্ষুব্ধ নারায়ণগঞ্জের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নেতারা তাদের বক্তব্যে আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলেই ত্বকী হত্যার বিচার করা সম্ভব অন্যথায় সম্ভব না। তাই দেশের বিচার কাজের দৈতনীতি বন্ধ করে অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীকে ত্বকী হত্যার চার্জশিট প্রদানসহ অপরাধীদের দ্রুত বিচার কাজ শুরু করার নির্দেশ দেয়া দাবি জানান তারা।

নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা ও নিহত ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি বলেন, সরকার এক দেশের দুই ধরনের নীতিতে হত্যাকাণ্ডের বিচার করছে। যেসব হত্যাকাণ্ডের বিচারের মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার সম্ভব সেসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করছে।

এছাড়া যেসকল হত্যাকাণ্ডে সরকারদলীয় লোকজন জড়িত সেই বিচারগুলোর চার্জশিট পর্যন্ত দিচ্ছে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী চাইলে এ ত্বকী হত্যার বিচার সম্ভব অন্যথায় বিচার আরো বিলম্বিত হবে। তাই প্রধানমন্ত্রী দ্রুত ত্বকী হত্যার চার্জশিটের ও বিচারের নির্দেশ দেবেন এটাই আমাদের দাবি।

নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েলের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সিপিবি জেলার সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি মণি সুপান্থ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক সুজিত সরকার, গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক তারিকুল সুজন, শ্রমিক নেতা দুলাল সাহা, জাহাঙ্গীর আলম গোলক, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের জেলার সভাপতি মশিউর রহমান রিচার্ড প্রমুখ।

প্রসঙ্গ, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকেলে ত্বকী শহরের শায়েস্তাখান সড়কের বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। পরে ৮ মার্চ সকালে চাড়ারগোপে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে তার মরদেহ পাওয়া যায়। ত্বকী হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে ৮ জনই পলাতক।

আর ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে দুই আসামি ইউসুফ হোসেন লিটন ও সুলতান শওকত ভ্রমর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডের দুই বছর অতিবাহিত হলেও এখনও পর্যন্ত এ মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হয়নি।

মো. শাহাদাত হোসেন/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।