বিদ্যালয়ের টিনশেড ঘর দখল করে সভাপতির ছেলের ব্যবসা!

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পিরোজপুর
প্রকাশিত: ০৯:৫৭ পিএম, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
বিদ্যালয়ের টিনশেড ঘরে দাতব্য চিকিৎসালয়ের সাইবোর্ড

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অস্থায়ী টিনশেড ঘর দখল করে দাতব্য চিকিৎসালয়ের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয় কমিটির সভাপতির ছেলের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।

স্থানীয়দের দাবি বাপ-দাদার জমিতে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করায় টিনশেড ঘরটি দখল করে ব্যক্তিগত ব্যবসার কাজে ব্যবহার করছেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. খালেক খানের ছেলে মো. মাহামুদ হাসান খান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২০ সালে উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নের পূর্ব-পশারিবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এ সময় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের দেওয়া ২ লাখ টাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য একটি অস্থায়ী টিনশেড ঘর নির্মাণ করা হয়।

তবে নতুন ভবন নির্মাণের পর অস্থায়ী টিনশেট ঘরটি অপসারণ না করে ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. খালেক খানের ছেলে প্রভাব খাটিয়ে সেখানে পশারিবুনিয়া পাবলিক লাইব্রেরি ও দাতব্য চিকিৎসালয়ের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।

সরেজমিনে গেলে মো. মাহামুদ হাসান খান বলেন, ‘টিনশেট ঘরটি আমি তুলেছি। তবে জমি সড়ক ও জনপথ বিভাগের।’

তবে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও হাসানের বাবা মো. খালেক খান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি স্কুলে যে জমি দান করেছি তা অন্যান্য দাগে রয়েছে। টিনশেট ঘরটি আমার জমিতে।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মতিয়ার রহমান বলেন, স্থানীয়ভাবে সভাপতির সঙ্গে সমাধান করতে না পারায় গত বছরের ৫ ডিসেম্বর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাসীর উদ্দিন খলিফা জাগো নিউজকে বলেন, প্রধান শিক্ষকের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরটি সরাতে বলা হয়েছে। এরপরও সভাপতি তা করেননি। সরকারি জমির সীমানা নির্ধারণসহ বেদখল জমি উদ্ধারের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে লিখিতভাবে সহযোগিতা চেয়েছি।

মো. ওমর হাসান/এসজে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।