জানুয়ারিতে কুয়াকাটায় পর্যটকে ভাটা
সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা। সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখে বিমোহিত হন পর্যটকরা। তবে নতুন করে করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়া এবং সরকারের বিধি নিষেধ আরোপের কারণে জানুয়ারির শেষের দুই সপ্তাহ তেমন পর্যটক আসেনি কুয়াকাটায়।
জানা যায়, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার বিধি নিষেধ আরোপ করলে কুয়াকাটায় পর্যটক সমাগম কমতে থাকে। কুয়াকাটায় হোটেল-মোটেলে সরকারি নির্দেশনা মেনে পর্যটকদের সেবা দিলেও জানুয়ারিতে পর্যটকদের উপস্থিতি কম ছিল। পাশাপাশি কিছু অগ্রীম বুকিংও বাতিল হয়ে যায়।
ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার জাগো নিউজকে জানান, জানুয়ারির শেষ দিকে কিছু অগ্রীম বুকিং বাতিল হয়।
শিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলার ব্যবস্থাপক আল-আমিন খান বলেন, জানুয়ারির শেষ দিকে প্রায় ৫০ শতাংশ বুকিং বাতিল হয়েছে। একদিকে ওমিক্রন প্রভাব অন্যদিকে মাসের শেষ সবমিলে বুকিংগুলো বাতিল হয়েছে।
সমুদ্রবাড়ি রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম মিরন জাগো নিউজকে জানান, নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত পর্যটন মৌসুম। তবে করোনার কারণে এবারের অবস্থাটা এলোমেলো হয়ে গেছে। আমাদের দ্বিতীয় শ্রেণীর হোটেল হওয়ায় একটু বেশি ক্ষতি হয়েছে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মো. শাহ-আলম হাওলাদার জানান, কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেল মোটেল ছাড়াও পর্যটন নির্ভর প্রায় ১৬ পেশার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন সহস্রাধিক মানুষ। গত ২১ সালের ডিসেম্বর মাসে পর্যটকদের বেশ ভালো উপস্থিতি ছিল কুয়াকাটায়। তবে জানুয়ারিতে তুলনামূলক পর্যটক অনেক কম।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জাগো নিউজকে জানান, আপাতত পর্যটক কুয়াকাটা সৈকতে কম দেখা যাচ্ছে। তবে যারা আসছে তাদেরকে সামাজিক দূরত্ব বজায়, মাস্ক ব্যবহার, নিরপদে থাকাসহ সব ধরনের সচেতনতা করা হচ্ছে। সরকারের সব সিদ্ধান্ত মানতে এবং মানাতে আমরা কাজ করছি।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/এএইচ/জিকেএস