বরগুনায় আবারো নৌকায় সিল মারা ব্যালট উদ্ধার


প্রকাশিত: ০৯:৩৪ এএম, ০৭ জানুয়ারি ২০১৬

বরগুনা পৌরসভার ক্রোক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্র থেকে নৌকা প্রতীকে সিল মারা ১১টি ব্যালট পেপার উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে বরগুনার এনডিসি সাকিব আল রাব্বির উপস্থিতিতে পড়ে থাকা ব্যালট পেপার জব্দ করে বরগুনা থানা পুলিশ।

এ বিষয়ে এনডিসি সাকিব আল রাব্বি জানান, খবর পেয়ে বরগুনার ক্রোক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে তিনি বিদ্যালয় ভবনের পেছনে ১১টি ব্যালট পেপার পড়ে থাকতে দেখেন। এসব ব্যালট পেপার কোথা থেকে কিভাবে এল তা খতিয়ে না দেখে কিছু বলা সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।

প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক স্থানীয় অধিবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উদ্ধারকৃত এসব ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে সিল মারা ছিল।

ক্রোক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী রুশিয়া বেগম বলেন, নির্বাচনের পরের দিন গত বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় ভবনের ভেতরে ঝাড়ু দেয়ার সময় শ্রেণি কক্ষের ভেতরে অনেকগুলো ব্যালট পেপার পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। সেখানে কাউন্সিলর প্রার্থীদের ব্লাক বোর্ড প্রতীকে সিল মারা ৭০টি এবং উট পাখি প্রতীকে সিল মারা ১৩টি ব্যালট পেপারও ছিল। তিনি তখন বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে তা ছিঁড়ে বাইরে ফেলে দেন বলে জানান।

এছাড়া প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় একাধিক অধিবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ বরগুনার এ লতিফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বরগুনার পিটিআই কেন্দ্রেও একাধিক ব্যালট পেপার পড়ে থাকতে দেখে তারা। পরে কে বা কারা এসব ব্যালট পেপার পুড়িয়ে দেয় বলেও তারা জানায়।

Barguna
 
এ বিষয়ে বরগুনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রিয়াজ হোসেন পিপিএম জানান, ‘মোট ১১টি ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়েছে। তার মধ্যে ৯টিতে নৌকা প্রতীকে সিল এবং অপর দু’টিতে নৌকা এবং আম উভয় প্রতীকে সিল মারা রয়েছে’।

তিনি আরও বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে উদ্ধারকৃত ব্যালট পেপার পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। ওইসব ব্যালটে যে গোল সিল মারা রয়েছে তার সাথে নির্বাচন কমিশন থেকে দেয়া সিলের কোনো মিল নেই।’

এর আগে গত শনিবার দুপুরে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে বিদ্যালয়ের একটি ভবনের পেছনে ১৫ থেকে ২০টি ব্যালট পেপার ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এসব ব্যালট পেপার উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর বুধবার পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের সময় সকাল ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগের এজেন্টদের সঙ্গে পুলিশ খারাপ আচরণ করলে ভোটকেন্দ্র ত্যাগ করে এজেন্টরা। এ সময় প্রশাসনকে অভিযুক্ত করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী কামরুল আহসান মহারাজ। পরে দুপুর ১২টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাব চত্বরে এক সমাবেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।

সাইফুল ইসলাম মিরাজ/এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।