ময়মনসিংহ মেডিকেলে চিকিৎসক-স্বজন মারামারি, বাঁচেনি শিশুটি
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় রোহান নামের চার বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ তুলেছে স্বজনেরা। এ ঘটনায় মারা যাওয়া শিশুটির চাচা সুমি আক্তার নামে এক সিনিয়র নার্সকে মারধর করেছেন। পরে চিকিৎসকেরাও স্বজনদের ওপর চড়াও হন এবং তাদের আটকে রাখেন।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে মমেক হাসপাতালের পুরোনো তিনতলা ভবনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, শিশু রোহান জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার মুজাহাটি গ্রামের মোহন মিয়ার ছেলে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) ডা. জাকিউল ইসলাম বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে রোহানের ফুফা জাগো নিউজকে বলেন, বিকেলে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় রোহানকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে এনে চিকিৎসককে অনেক ডাকাডাকি করলেও তিনি আসেননি। পরে সুমি আক্তার নামের একজন নার্স এলে তাকে মারধর করে শিশুটির চাচা সাব্বির মিয়া। এ ঘটনা দেখে অন্য চিকিৎসকেরা শিশুর স্বজনদের পাল্টা মারধর করে ও তাদের আটকে রাখে। এরই মধ্যে কোনো ধরনের চিকিৎসা না পেয়ে শিশু মারা যায়।
এদিকে স্বজনদের অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতালের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) ডা. জাকিউল ইসলাম বলেন, চিকিৎসকের অবহেলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। চিকিৎসকরা অপারেশন থিয়েটারে ছিল। পরে নার্স ওই শিশুর কাছে গেলে স্বজনরা তাকে মারধর করেন। বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা চলছে।
শুক্রবার বিকেলে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার মুজাহাটি গ্রামে বাবার হাত ধরে হাঁটছিল শিশু রোহান। হঠাৎ হাত ছেড়ে দৌড় দিলে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশা তাকে চাপা দেয়।
মঞ্জুরুল ইসলাম/এমকেআর