এক নজরে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০০ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০২২
ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী/ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী মেয়র পদে ফের জয়ী হয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান আলী আহাম্মদ চুনকার মেয়ে আইভী মেয়র পদে ২০১১ সালে প্রথমবার নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়েন নারী মেয়র হওয়ার। এবার রেকর্ড গড়লেন কোনো সিটির তৃতীয় বার মেয়র হওয়ার।

ডা. আইভীর জন্ম ১৯৬৬ সালের ৫ জুন। তার বাবা আলী আহাম্মদ চুনকা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

আইভীর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু হয় শিক্ষাজীবনেই। ১৯৮৪ সালে তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি ওয়ার্ড কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। এর পরের বছরই মারা যান তার বাবা আলী আহাম্মদ চুনকা।

আইভী রাশিয়ার ওডেসা পিরাগোব মেডিকেল ইনস্টিটিউট থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে ডক্টর অব মেডিসিন ডিগ্রি লাভ করেন ১৯৯২ সালে। এরপর দেশে ফিরে নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদিকার দায়িত্ব পান ১৯৯৩ সালে। এর ১০ বছর পর (২০০৩ সালে) হন নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। সে বছরই তিনি নির্বাচিত হন নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে।

এরপর দুই মেয়াদে টানা আট বছর ছিলেন সে পদে। ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জকে সিটি করপোরেশন করা হয়। নারায়ণগঞ্জ সিটির প্রথম নির্বাচনে তার দল আওয়ামী লীগ অবশ্য তাকে মনোনয়ন দেয়নি। তবে এতে তিনি নির্বাচন থেকে সরে না গিয়ে মেয়র পদে নির্বাচন করেন স্বতন্ত্র হিসেবে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই তিনি জয়ী হয়ে আসেন।

এরপর সিটির দ্বিতীয় নির্বাচনে (২০১৬ সালে) দলের মনোনয়ন নিয়ে ফের মেয়র পদে প্রত্যাবর্তন করেন। এবারও তিনি দলের মনোনয়ন নিয়েই গড়লেন ইতিহাস।

মেয়র পদে দায়িত্ব পালন ছাড়াও আইভী ‘আলী আহাম্মদ চুনকা ফাউন্ডেশন’ এবং ‘নারায়ণগঞ্জ হার্ট ফাউন্ডেশন’র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ডা. আইভী তার শিক্ষাজীবন শেষ করে ১৯৯৩-৯৪ সালে মিটফোর্ড হাসপাতালে এবং ১৯৯৪-৯৫ সালে নারায়ণগঞ্জ ২০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে অনারারি চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন।

এমএইচআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।