আটোরিকশা চালকের কাণ্ড : রুদ্ধশ্বাস ৫ ঘণ্টা
আনুমানিক ১০০ ফুট উঁচু গাছের ডাল থেকে অটোরিকশা চালক হামিদুল ইসলামকে নামালেন ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি বাড়ির পাশের এক মেহগনি গাছের ডালে উঠে বসে ছিলেন। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা পর তাকে নামানো হয়েছে। হামিদুল ইসলাম ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চননগর এলাকার বাসিন্দা।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা জানান, বিকেলে মই বেঁধে, নানাভাবে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে হামিদুলকে নামিয়ে আনা হয়। নামার সঙ্গে সঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়ে হামিদুল। এরপর তাকে দ্রুত নেয়া হয় সদর হাসপাতালে। তবে কেন সে গাছে উঠেছে, আর কখন কিভাবে উঠেছে তা কেউ বলতে পারেনি। তবে ডাক্তাররা বলছেন তার মানসিক সমস্যা আছে। যে কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী রেজাউল ইসলাম জানান, দুপুর দেড়টার দিকে ওই এলাকার এক পথচারীর চোখে পড়ে কাঞ্চননগর পাড়ার মেহগনি বাগানের একটি উঁচু গাছের ডালে ওঠে হামিদুল। এলাকার লোকজন গাছের ডালে বসে থাকতে দেখে নামানোর চেষ্টা করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা করে নামাতে না পেরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন।
খবর দেয়া হয় থানা পুলিশকেও। তারা আরো এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট চেষ্টা করে গাছ থেকে অক্ষত অবস্থায় নামিয়ে আনেন হামিদুল ইসলামকে। নামার সঙ্গে সঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়লে নেওয়া হয় হাসপাতালে। এরপর চার ঘণ্টা হাসপাতালে সেবা নেয়া পর সুস্থ হন। আর প্রতি মুহূর্তেই স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশিরা মূর্ছা যাচ্ছিলেন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার নাজনিন নাহার জানান, হামিদুল ইসলামের মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। যে কারণে তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
হামিদুল ইসলামের স্ত্রী দিথি খাতুন জানান, তার স্বামীর এ জাতীয় কোনো সমস্যা দেখেন নি।
এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিসের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর মিয়ারাজ উদ্দিন জানান, এ ঘণ্টা ১৫ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই ব্যক্তিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন।
এআরএ/আরআইপি