নড়াইলে নববধূ শ্রাবণী হত্যা মামলায় স্বামী হাসিবুর গ্রেফতার
নড়াইলের কালিয়ায় যৌতুকের দাবিতে নববধূকে পিটিয়ে হত্যার পর হাসপাতালে স্ত্রীর মরদেহ ফেলে যাওয়া স্বামী হাসিবুর রহমান বিশ্বাসকে (২০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ঢাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। এরপর বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) তাকে কালিয়া থানায় আনা হয়।
হাসিবুর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের হেমায়েত বিশ্বাসের ছেলে। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, প্রায় তিন মাস আগে কালিয়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামের হেমায়েত বিশ্বাসের ছেলে হাসিবুর রহমান বিশ্বাসের সঙ্গে খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার হাড়িখালী গ্রামের মো. ফারুক শেখের মেয়ে শ্রাবণীর বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক দিন পরেই চাকরির অজুহাতে শ্রাবণীর কৃষক বাবার কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন হাসিবুর। মেয়ের সুখের কথা ভেবে শ্রাবণীর বাবা জামাইকে ৩ লাখ টাকা দেন। বাকি ৭ লাখ টাকার জন্য এক মাসের সময় নিয়েছিলেন। কিন্তু সময় মতো যৌতুকের বাকি টাকা দিতে না পারায় গত ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাসিবুর শ্রাবণীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অজ্ঞান অবস্থায় তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আর সেই ফাঁকে স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যান স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন।
এ ঘটনায় শ্রাবণীর বাবা ফারুক শেখ বাদী হয়ে গত ৩ জানুয়ারি হাসিবুরসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দায়েরের পর প্রধান আসামি হাসিবুরকে ধরতে কালিয়া থানা পুলিশের একাধিক টিম অভিযান শুরু করে। তার এক পর্যায়ে বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকার একটি বাসা থেকে কালিয়া থানা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার সকালে কালিয়া থানায় নিয়ে আসে।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়া বলেন, কিশোরী নববধূ শ্রাবণী হত্যা মামলার প্রধান আসামি হাসিবুরকে ঢাকার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত জানতে তাকে রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি বাকি আসামিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলেও জানান ওসি।
হাফিজুর নিলু/এমআরআর