বগুড়ায় কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা, গুলিতে প্রাণহানি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া
প্রকাশিত: ১২:১১ এএম, ০৬ জানুয়ারি ২০২২

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বালিয়াদীঘি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ-নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট-বিজিবির ওপর নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের হামলার অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে সেখানে প্রাণহানি ঘটেছে। তবে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য মিলছে।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বালিয়াদীঘির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কালাইহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

আইনশৃৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, নৌকার সমর্থকরা পুলিশ, বিজিবি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার চারটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), পুলিশ ও বিজিবির সদস্যসহ চারজন আহত হয়েছেন।

সহিংসতা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কয়েক দফা গুলি চালালে সেখানে প্রাণহানি ঘটে। ওই গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন চারজনের মৃত্যুর তথ্য দিলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত এ সংখ্যা বলছে এক।

ইসমাইলের ভাষ্যমতে নিহতরা হলেন- বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের মধ্যপাড়ার বাসিন্দা খোকন মন্ডলের স্ত্রী কুলসুম (৪০)। তিনি ওই ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ছোবেদার নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। অন্যরা হলেন- মধ্যপাড়ার মৃত মকবুলের ছেলে আলমগীর (৩৫), পশ্চিমপাড়ার মৃত ইফাতুল্লা প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল রশীদ (৪৮) এবং উত্তরপাড়ার মৃত ছহির উদ্দিন আকন্দর ছেলে খোরশেদ আকন্দ (৬৫)।

এ বিষয়ে গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রওনক জাহান বলেন, কালাইহাটা কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হলেও নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা গণনায় বাধা দেন। অন্য কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে তারা ভোটের ফলাফল ঘোষণা করতে বলেন।

তিনি বলেন, এতে আপত্তি জানালে চেয়ারম্যান পদে নৌকা মার্কার প্রার্থী ইউনুছ আলী ফকিরের সমর্থকরা কেন্দ্রে হামলা চালান। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে নৌকা মার্কার কর্মীদের সংর্ঘষ শুরু হয়। নৌকা মার্কার কর্মীরা ইউএনওর গাড়ি ছাড়াও পুলিশ, বিজিবির মোট চারটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। হামলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বে থাকা শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসিফ আহমেদ এবং বিজিবি ও পুলিশের একাধিক সদস্য আহত হয়েছেন।

ইউএনও রওনক জাহান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়। তবে কতজন হতাহত হয়েছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবত্তী শুধু কুলসুম নামে একজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এমএইচআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।