বোনকে ডেকে এনে ধর্ষকদের হাতে তুলে দিল ভাই
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার শিয়ালমারী গ্রামে ধর্ম ভাইয়ের সহযোগিতায় এক কিশোরী (১৬) গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। রোববার রাতে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই রক্তাক্ত অবস্থায় কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
সোমবার সকালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে খুলনা থেকে তার বাবা এসে তাকে নিয়ে গেছে। এ দিকে গণধর্ষণের ঘটনার পর ধর্ম ভাই পল্লী চিকিৎসক সিদ্দিক আলীসহ ৫ ধর্ষক এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
খুলনার দৌলতপুরের বাসিন্দা ধর্ষিতা ও তার পরিবারের অভিযোগ, জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের আমতলা পাড়ার সিদ্দিক আলীর সঙ্গে প্রায় ৮ বছর পূর্বে তাদের পরিবারের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে সিদ্দিক আলী রোববার সকালে ফোন করে ধর্ম মাকে তার ক্ষেতের সবজি নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে। অসুস্থতার কারণে মা আসতে অপরাগতা প্রকাশ করলে সিদ্দিক তার ধর্ম বোনকে পাঠানোর অনুরোধ করে।
রোববার সন্ধ্যায় খুলনার দৌলতপুর হতে ওই কিশোরী (১৬) ট্রেনযোগে সিদ্দিক আলীর শিয়ালমারী গ্রামে ওষুধের দোকানে এসে পৌঁছে। রাত আনুমানিক ৮টার দিকে সিদ্দিক আলী মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে শিয়ালমারী গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে জাহিদুল ইসলামের (২৫) হাতে তার ধর্ম বোনকে তুলে দেয়। এসময় ধর্ষক জাহিদুল ওই কিশোরীর মুখে কাপড় বেঁধে পার্শ্ববর্তী লিচু বাগানে নিয়ে ৪ বন্ধু মিলে রাতভর ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ধর্ষিতা জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ধর্ষকরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। ভোরে এলাকাবাসী তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়। এসময় ধর্ষিতার বাবাকে খবর দিলে তিনি খুলনা থেকে এসে মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
ধর্ষিতার বাবা জানান, মেয়েকে সুস্থ করে তিনি দুই-তিন দিনের মধ্যে ফিরে আসবেন এবং ধর্ম ছেলে সিদ্দিক ডাক্তার আলীসহ ধর্ষকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এ ব্যাপারে জীবননগর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবীর জানান, এ ধরনের কোনো খবর তিনি জানেন না। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
সালাউদ্দীন কাজল/এমএএস/পিআর