জয়পুরহাটের ৩ পৌরসভায় ৯ জন মেয়র প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত
জয়পুরহাট সদর, কালাই, আক্কেলপুর পৌরসভা নির্বাচনে মোট ৯ জন মেয়র প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, সদর পৌরসভায় মেয়র পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ২৩ হাজার ৪৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত ও নিকটতম বিএনপির অধ্যক্ষ শামছুল হক পান ১১ হাজার ৪৪১ ভোট।
জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া ৫ জনের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী (জামায়াত) জগ মার্কার হাসিবুল আলম ১ হাজার ১৫৪ ভোট, জাপার আ স ম মোক্তাদির তিতাস (লাঙ্গল) ৫০১ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার সাজ্জাদ আহমেদ নারিকেল মার্কা ২৯৯ ভোট, সিপিবির দেওয়ান বদিউজ্জামান (কাস্তে) পেয়েছেন ১০৪ ভোট, জাসদের আমেজউদ্দিন (মশাল) পেয়েছেন ৮৮ ভোট।
কালাই পৌরসভায় মেয়র পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী খন্দকার হালিমুল আলম জন নৌকা প্রতীক নিয়ে ৬ হাজার ৮৪৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সাজ্জাদুর রহমান সোহেল ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৫০০ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া ২ জনের মধ্যে আমিনুল ইসলাম (লাঙ্গল) ৭০ ভোট, সাজ্জাদুর রহমান কাজল (মোবাইল) ৪১ ভোট পান।
অন্যদিকে, আক্কেলপুর পৌরসভায় মেয়র পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী গোলাম মাহফুজ চৌধুরী নৌকা প্রতীক নিয়ে ৬ হাজার ৬০০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির রেজাউল করিম ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ৩ হাজার ৮৫৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া ২ জনের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী আহসান কবির নান্নু জগ মার্কা ১৩২৫ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী এনায়েতুর রহমান আকন্দ স্বপন নারিকেল গাছ মার্কা ৪২৭ ভোট পান।
জয়পুরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন জানান, কাষ্ট ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়।
রাশেদুজ্জামান/এমএএস/আরআইপি