স্বপ্ন ছুঁতে আর বাকি সাড়ে ৪ শতাংশ কাজ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মুন্সিগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৭:০৩ পিএম, ০৩ জানুয়ারি ২০২২
পদ্মা সেতু

স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে চলছে শেষ পর্যায়ের কাজ। এরই মধ্যে ৩১ ডিসেম্বর আকস্মিক সেতুর অগ্রগতির পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে সেতুতে কয়েক কিলোমিটার এলাকা ঘুরে দেখেছেন তিনি।

এদিকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্বিক কাজ এগিয়েছে ৮৯.৫০ শতাংশ। মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি ৯৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। অর্থাৎ মূল সেতুর কাজের বাকি মাত্র সাড়ে ৪ শতাংশ।

সোমবার (৩ জানুয়ারি) পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আবদুল কাদের জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

সেতুর প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতু প্রকল্পের মোট বাজেট ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। যার মধ্যে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৬ হাজার ৬৫৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা বা মোট বাজেটের ৮৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। মূল সেতুর কাজের চুক্তিমূল্য প্রায় ১২ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা। যার মধ্যে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৯২.৭৬ শতাংশ বা প্রায় ১১ হাজার ৫৮৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

padma1

এদিকে সেতু প্রকল্পের আওতায় নদীশাসনের কাজের অগ্রগতি হয়েছে সাড়ে ৮৭ শতাংশ। নদীশাসন কাজের চুক্তিমূল্য আট হাজার ৯৭২ কোটি ৩৮ লাখ টাকার মধ্যে ব্যয় হয়েছে সাত হাজার ৩১ কোটি ৭১ লাখ টাকা।

এছাড়া সেতুর সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়ার ব্যয় হয়েছে এক হাজার ৪৯৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা। ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ খাতে বরাদ্দ চার হাজার ৩৪২ কোটি ২৬ লাখ টাকা। বাকি খাতে (পরামর্শক, সেনা নিরাপত্তা, ভ্যাট ও আয়কর, যানবাহন, বেতন-ভাতা এবং অন্যান্য) বরাদ্দ দুই হাজার ৮৮৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

প্রকৌশল বিভাগ আরও জানায়, এর মধ্যে মূল সেতুর মধ্যে দুই হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব ও ২ হাজার ৯৫৯টি রেলও স্ল্যাব, পাঁচ হাজার ৮৩৪টি শেয়ার পকেট সবগুলো বসানো হয়েছে। মাওয়া ও জাজিরার ভায়াডাক্টে মোট ৪৩৮টি সুপারটি গার্ডার, মোট ৮৪ রেলওয়ে আই গার্ডারও স্থাপন করা হয়েছে। মূল সেতুর মোট ৪১টি ট্রাস আছে, যার সবগুলো এরই মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। যার দৈর্ঘ্য ছয় হাজার ১৫০ মিটার বা ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার।

বর্তমানে সেতুর শেষ পর্যায়ে কার্পেটিং, গ্যাস পাইপলাইন ও ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন, মুভমেন্ট জয়েন্ট, ল রেলিংয়ের তৈরির কাজ চলছে।

সেতুর অবশিষ্ট কাজের মধ্যে ওয়াটার প্রুফিং মেমব্রিনের কাজ ১৩.৪১ শতাংশ, ভায়াডাক্ট কার্পেটিং ৮.৯৪, মূল সেতুর কার্পেটিং ২.০৫, ভায়াডাক্ট মুভমেন্ট জয়েন্ট ৯১, মূল সেতুর মুভমেন্ট জয়েন্ট ৯০, ল্যাম্পপোস্ট স্থাপনের কাজ ১৯.৫৪ শতাংশ এগিয়েছে। এছাড়া অ্যালুমিনিয়াম রেলিংয়ের কাজ শুরু হচ্ছে। সেতুতে গ্যাস পাইপলাইন ৭১ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং সেতু প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত ৪০০ কেভিএ বিদ্যুৎ লাইনের কাজ ৬৮ শতাংশ এগিয়েছে।

নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের বলেন, জুন মাসে সেতুতে যানবাহন চালুর লক্ষ্যে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই সেতুর সব কাজ চলছে।

আরাফাত রায়হান সাকিব/এসজে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।