বাবা-ছেলের ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী
বরগুনার সাবেক এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তার ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাবা-ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম বরগুনা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তার ছেলে আরিফ হোসেনের (২৩) বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কিশোরী।
ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা নেই, তার মা শহরে ঘুরে ঘুরে সবজি বিক্রি করেন। এজন্য সারাক্ষণ একাই বাসায় থাকতো ওই কিশোরী। প্রতিবেশী নুরুল ইসলামের ছোট মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হলে তাদের বাসায় আসা যাওয়া করত ওই কিশোরী। তাদের বাসার টুকটাক কাজও করতো।
একদিন বাসায় গেলে ভয়ভীতি দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন নুরুল ইসলাম। এর কয়েকদিন পর ছেলে আরিফ হোসেন নুরুল ইসলামের ঘটনাটা নিয়ে কিশোরীকে ব্ল্যাকমেইল করে কয়েকবার ধর্ষণ করেন। এরপর কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করলে তিনি বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। পরে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি আমলে নিয়ে একটি টিম পাঠিয়ে রোববার (২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টায় প্রথমে নুর ইসলামকে আটক করে থানায় আনেন। এর আধা ঘণ্টা পর তার ছেলে আরিফকেও আটক করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, কাজের প্রয়োজনে সারাক্ষণ বাইরে থাকতে হয়। এ কারণে আমার মেয়ে প্রায় সময়ই নুর ইসলামের ছোট মেয়ের সঙ্গে তাদের বাসায় থাকত। আমার মেয়েকে দিয়ে তারা কাজও করাতো। কিন্তু তারা যে আমার মেয়ের এতো বড় সর্বনাশ করবে কখনোই ভাবিনি, বুঝতে পারলে আমি মেয়েকে ওদের সঙ্গে মিশতে দিতাম না। আমার মেয়ের এ অবস্থা যারা করেছে আমি তাদের কঠিন বিচার চাই।
এ বিষয়ে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম তারিকুল ইসলাম জানান, অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাতেই থানায় আনা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এফএ/জিকেএস