জামালপুরে আলোচনায় দেবর-ভাবির ভোটের ‘লড়াই’
আসন্ন পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নে ভোটের লড়াইয়ে মাঠে নেমেছেন দেবর-ভাবি। একই পরিবারের হলেও দুজনই নিজেদের তুলে ধরছেন ভিন্ন প্রতীকে। এ নিয়ে জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে নানান আলোচনা।
ওই দুই প্রার্থী হলেন- দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম দৌলত হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী ও হাতীভাঙ্গা ইউনিয়ন মহিলা লীগের সহ-সভাপতি মোছা. মাহমুদা চৌধুরী (নৌকা প্রতীক) এবং ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী (ঘোড়া প্রতীক)।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিয়নগুলো হচ্ছে- ডাংধরা, চর আমখাওয়া, হাতীভাঙ্গা ও চুকাইবাড়ী। তবে সব ইউনিয়নের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ছাপিয়ে হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের দেবর-ভাবির ভোটযুদ্ধের লড়াই উঠে আসছে আলোচনায়। চা স্টল থেকে শুরু করে মাঠে-ঘাটে চলছে গুঞ্জন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ভোটের মাঠে দেবর-ভাবির লড়াইয়ে ভোটারদের মাঝে ব্যাপক উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। দেবর-ভাবি এমন লড়াইয়ে তারা বেশ খুশি। এরই মধ্যে ইউনিয়নজুড়ে পোস্টার, লিফলেটে ও ব্যানারে ভরে তুলেছেন। ভোট চেয়ে দুজনই পৃথকভাবে জনসংযোগ ও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ঘুরে দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি।
জানতে চাইলে নৌকা প্রতীকের মাহমুদা চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘তাজুল ইসলামকে বার বার নির্বাচন না করতে বলা হলেও সে কারও কথা রাখেনি। দল আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছে। ইউনিয়নবাসীও আমাকে সমর্থন করছেন। আশা করছি- আমিই জিতবো।’
এদিকে, তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ভোটের লড়াইয়ে দেবর-ভাবি সম্পর্কের কোনো স্থান নেই। জনগণ যাকে চাইবেন, তাকেই ভোট দেবেন। যেভাবে নির্বাচন করছি এবং ভোটারদের সাড়া পাচ্ছি, সুষ্ঠু ভোট হলে আমিই জয়লাভ করবো।’
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুন্নাহার শেফা জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিষয়টি আমরাও শুনেছি। তবে দুজনকেই আমরা আলাদা প্রার্থী হিসেবেই ভাবছি। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে উপজেলা প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
মো. নাসিম উদ্দিন/এএএইচ