কাউন্সিলর হত্যা-পূজাকাণ্ডে আলোচিত ছিল কুমিল্লা

জাহিদ পাটোয়ারী
জাহিদ পাটোয়ারী জাহিদ পাটোয়ারী , কুমিল্লা
প্রকাশিত: ০৮:৪৮ পিএম, ০২ জানুয়ারি ২০২২

সদ্য বিদায়ী বছর ২০২১। এ সময়ে দেশজুড়ে আলোচিত নানান ঘটনায় সংবাদের শিরোনাম হয়েছে কুমিল্লাও। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল পূজামণ্ডপে কোরআন রেখে দেশব্যাপী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং প্রকাশ্যে কাউন্সিলরসহ দুজনকে গুলি করে হত্যা। এছাড়াও বিভিন্ন ঘটনায় উদবেগ-উৎকণ্ঠায় কেটেছে বিদায় বছর।

পূজাকাণ্ড

গেলো বছর ১৩ অক্টোবর সকালে কুমিল্লা নগরীর নানুয়ারদীঘির পাড় এলাকায় অস্থায়ী একটি পূজামণ্ডপে কোরআন রাখার খবর মুহূর্তের ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কুমিল্লা নগরীসহ জেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে এ ঘটনার জেরে দেশজুড়ে বিভিন্ন মন্দিরে হামলা ও একাধিক হিন্দু-মুসলমানের প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। পরে ২১ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকার সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ঘটনার মূল হোতা ইকবালকে আটক করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

jagonews24

এ ঘটনায় কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় সর্বমোট ১২টি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় আটটি, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় দুটি এবং দাউদকান্দি ও দেবীদ্বার থানায় একটি করে মামলা হয়েছে। এসব মামলায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মহিউদ্দিন আহমেদ বাবুসহ এখন পর্যন্ত প্রায় ১১১ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরা সবাই বর্তমানে কুমিল্লা কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

প্রকাশ্যে গুলি করে কাউন্সিলর হত্যা

গত ২২ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে ১৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোহেল পাথুরীয়াপাড়ায় তার কার্যালয়ে বসে কথা বলছিলেন। এ সময় মুখোশ পরা একদল দুর্বৃত্ত তার অফিসে ঢুকে উপস্থিত সবাইকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে কাউন্সিলর সোহেল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুলিবিদ্ধ হন তার সহযোগী হরিপদ সাহা, আওলাদ হোসেন রাজু, মো. জুয়েল ও মো. রাসেল। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ করতে করতে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা মারা যান।

jagonews24

ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাত সোয়া ১২টার দিকে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আলমসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এদের মধ্যে মোট ১৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ও র‌্যাব।

এদের মধ্যে ৩০ নভেম্বর রাতে মহানগরীর সংরাইশ গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন নগরীর সুজানগর এলাকার রফিক মিয়ার ছেলে সাব্বির হোসেন (২৮) ও সংরাইশ এলাকার কাকন মিয়ার ছেলে সাজন (৩২)।

২ ডিসেম্বর রাতে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার চানপুর গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় মামলার প্রধান আসামী নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগর পূর্বপাড়া এলাকার মৃত জানু মিয়ার ছেলে শাহ আলম পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।

জাহিদ পাটোয়ারী/এসজে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।