পুড়ে যাওয়া লঞ্চ জব্দ, মালামাল থানায় নিয়েছে পুলিশ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি
প্রকাশিত: ০৩:৪৬ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১
পুড়ে যাওয়া লঞ্চ এমভি অভিযান-১০

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া লঞ্চ এমভি অভিযান-১০ ও পুড়ে যাওয়া মালামাল জব্দ করেছে পুলিশ। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লঞ্চটি জব্দ করে পুড়ে যাওয়া মালামাল থানায় নিয়ে যান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।

থানা সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) গভীর রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০ এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল। এ দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে ঝালকাঠি থানায় একটি মামলা করা হয়। এতে পুড়ে যাওয়া এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখ ও লঞ্চের স্টাফসহ আটজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ২০-২৫ জন লঞ্চের কর্মচারীকে আসামি করা হয়েছে।

jagonews24

স্বজনহারা ঢাকার ডেমরার বক্সনগর এলাকার বাসিন্দা মনির হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তার বোন তাসলিমা আক্তার, ভাগনি সুমাইয়া আক্তার, সুমনা আক্তার তানিসা ও ভাইয়ের ছেলে জুনায়েদ ইসলাম পুড়ে যাওয়া লঞ্চের যাত্রী ছিলেন। ঘটনার পর থেকে তারা নিখোঁজ।

এ ব্যাপারে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম জানান, মামলার আলামত হিসেবে লঞ্চটি জব্দ ও পুড়ে যাওয়া মালামালের বিশেষ কিছু অংশ থানায় নিয়ে রাখা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

jagonews24

তিনি আরও জানান, আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেফতার আসামিদের দৃশ্যমান গ্রেফতার দেখানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখ, দুই মাস্টার রিয়াজ সিকদার ও মো. খলিল, দুই ড্রাইভার মাসুম ও কালাম, সুপারভাইজার আনোয়ার, সুকানি আহসান ও কেরানি কামরুল। মামলায় দহনশীল দ্রব্য নিয়ে বেপরোয়া জাহাজ চালানো এবং অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছে।

আতিকুর রহমান/এসআর/এএসএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।