ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন
ভৈরব পৌরসভা নির্বাচনে বিভিন্ন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রোববার সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ মো. সায়দুলাহ মিয়া এক লিখিত বক্তব্য পাঠ করে অভিযোগ করেন, বিএনপি প্রার্থী হাজী মো. শাহিন নির্বাচনে পরাজিত হয়ে এলাকায় বিভিন্ন অপপ্রচার করছে।
নির্বাচনের দিন ভোটারদের ভোট সম্পন্ন হওয়ার আগেই বিএনপি প্রার্থী পরাজয় নিশ্চিত জেনে দুপুর দেড়টায় তিনি নির্বাচন বর্জন করেন।
গত ৩১ ডিসেম্বর একটি প্রচার বহুল জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় “ভৈরবে প্রকাশ্যে সিল” সংবাদ প্রকাশের সমালোচনা করে তিনি বলেন, নির্বাচনে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
তিনি বলেন, এলাকায় অন্যান্য মিডিয়ার অনেক সাংবাদিক রয়েছেন কিন্তু প্রকাশ্য সিল দেয়ার কোনো ভিডিও ফুটেজ বা ছবি কেউ দেখাতে পারবে না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিগত নির্বাচনে (২০১১ সালে) আওয়ামী লীগের তিন প্রার্থী ভোট পেয়েছিল প্রায় ৩৩ হাজার এবং বিএনপি দুই প্রার্থী পেয়েছিল প্রায় ১৬ হাজার। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফখরুল আলম আক্কাছ ভোট পেয়েছেন ৩০ হাজার ৭১৪ এবং বিএনপি প্রার্থী হাজী মো.শাহিন পেয়েছেন ১৯ হাজার ৯০১ ভোট।
গত নির্বাচনের তুলনায় ফলাফলে আওয়ামী লীগের ভোট কমেছে এবং বিএনপির ভোট বেড়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ প্রার্থীর গ্রামের কেন্দ্রগুলোতে এবার ভোট পড়েছে ৬২-৭০% এবং বিএনপির গ্রামের কেন্দ্রগুলোতে ভোট পড়েছে ৮৫%।
তিনি বলেন, এবার নির্বাচনে ১৬ জন কাউন্সিলরের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থনকারী ১৪ জন বিজয়ী হয়েছে। নির্বাচনের আগে থেকেই বিএনপি প্রার্থী সীমানা জটিলতার ধম্রজাল সৃষ্টি করে অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে দিয়ে হাইকোর্টে রিট করে নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু তার ষড়যন্ত্র বাতিল হয়ে গেছে। এছাড়াও এক কাউন্সিলর প্রার্থীর ভাইকে দিয়ে জাল ব্যালট পেপার ছাপিয়ে নির্বাচনের দিন রাস্তায় ফেলে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর উপর দোষ চাপানোর ষড়যন্ত্র করেছিলেন বিএনপি প্রার্থী, এ ষড়যন্ত্রও নির্বাচনের আগে প্রকাশ হয়ে যায়।
তিনি অভিযোগে আরো বলেন, নির্বাচনে হাজী মো. শাহিন গোপনে কোটি কোটি টাকা ভোটারদের মধ্যে বিলি করেও বিজয়ী হতে না পেরে তিনি এলাকায় এ অপপ্রচার করছেন।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের বিজয়ী মেয়র প্রার্থী ফখরুল আলম আক্কাছ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মির্জা সুলায়মান, যুগ্ম সম্পাদক ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব এস.এম বাকী বিলাহ, সমাজসেবক হাজী মো. রফিকুল ইসলাম, স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।
আসাদুজ্জামান ফারুক/এমএএস/আরআইপি