বরিশাল মেডিকেলের বার্ন ইউনিট বন্ধ, হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বরিশাল
প্রকাশিত: ১১:৪৬ এএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২১

অডিও শুনুন

ঝালকাঠিতে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক-সেবিকারা। একের পর এক দগ্ধ রোগী ভর্তি হওয়ায় চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে একজন চিকিৎসক ছিলেন। ২০২০ সালের ২৮ এপ্রিল নগরীর কালীবাড়ি রোডে বেসরকারি মমতা স্পেশালাইজড হাসপাতাল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর এক বছর আট1 মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো চিকিৎসক দেওয়া হয়নি। ফলে চিকিৎসকহীনতায় হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ বন্ধ রয়েছে।

অন্যদিকে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেলে পাঠানো হচ্ছে। ভোররাত থেকে এ পর্যন্ত (বেলা ১১টা) অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৭২ জনকে এ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের তিন ইউনিটে তাদের ভর্তি করা হচ্ছে। ওই তিন ইউনিটে আগে থেকেই রোগীরা ভর্তি রয়েছেন। এতে শয্যা সংকট তৈরি হয়েছে। অনেক দগ্ধ রোগীকে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, ‘চিকিৎসকের অভাবে হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগটি বন্ধ রয়েছে। এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ৭২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, ‘হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের তিন ওয়ার্ডে ৫০ জন চিকিৎসক ও ইন্টার্ন চিকিৎসক দগ্ধ রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। তবে সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন বেশ কয়েকজন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’

সাইফ আমীন/আরএইচ/জিকেএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।